এপিএস নিউজ ডেস্ক
শর্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষ হলেই তিনি মুক্তি পাবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে জানিয়েছেন যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক প্রক্রিয়াগুলো শেষ করতে না পারায় আজ মুক্তি হয়নি।
তিনি আভাস দেন, এ প্রক্রিয়া বুধবার শেষ হতে পারে।
এর আগে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খালেদা জিয়াকে যত দ্রুত সম্ভব মুক্তি দেয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে, এবং এটা যেকোনো সময় ঘটতে পারে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এর আগে বিবিসিকে বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতটি তারা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এর আগে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, দুইটি শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এগুলো হলো – এই সময়ে তাঁর ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ”ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করার শর্তে এবং এই সময় বিদেশে গমন না করার শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি মতামত দিয়েছি। সেই মতামত এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে গেছে।”
”মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হচ্ছে, আইনি প্রক্রিয়ায় এই দুই শর্তসাপেক্ষে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য।”
আইনমন্ত্রী বলেন, ”বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায়, মানবিক কারণে, সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হবে, তখন থেকে এই ছয় মাস গণনা শুরু হবে।
এপিএস/টিআইএন
তথ্যসূত্রঃ বিবিসি বাংলা