নিজস্ব প্রতিবেদক
সারা দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেখে নিই কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিয়েছে।
১. আগামী বুধবার হতে জেলার সাথে দূরপাল্লার সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ।
২. আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সকল এনজিওর গ্রাহকদের ক্ষুদ্র ঋনের কিস্তি (জোরপূর্বক) আদায় স্থগিত। উল্লেখ্য যদি কোন গ্রাহক স্বেচ্ছায় ঋনের টাকা পরিশোধ করে, সেটা আদায় করা যাবে।
৩. চায়ের দোকানে টিভি চালানো বন্ধ, বসার যায়গা রাখা যাবেনা, অস্থায়ী কাপে চা পরিবেশন করতে হবে।। এছাড়া একযায়গায় ৫ জনের বেশী জটলা করা যাবেনা। মুদি দোকানে বসে জটলা করাও নিষেধ করা হয়েছে।
৪. সকল প্রকার সাপ্তাহিক হাটবাজার (তামাক, পান, পশু,) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
৫. বিদেশ থেকে আগত সকলকে নূন্যতম ১৪ দিন নিজ গৃহে একা একা থাকতে হবে, যদি পরিবারের সকলের সাথে মিশে তবে পরিবারের সকলকে লকডাউন (একঘরে) করা হবে। নতুবা অর্থদন্ড করা হবে।
৬. আগামী বুধবার হতে জেলার মুদি, ঔষুধ ও কাঁচাবাজারের দোকান ব্যাতিত সকল দোকান বন্ধ ঘোষণা করা হবে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত।
৭. সকল প্রকার সামাজিক অনুষ্ঠান যেমনঃ বিয়ে, বৌভাত, সুন্নতে খাৎনা, মুখেভাত, জন্মদিন, গায়েহলুদ, হালখাতা ও কুলখানি স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সকল প্রকার ধর্মীয় সভা, সমাবেশ, ওয়াজ, মিলাদ মাহফিল, হিন্দুদের কৃত্তন, অন্নপ্রাশন, শ্রাদ্ধ ও ধর্মীয় সভা, সমাবেশ স্থগিত থাকবে।
৮. রাজনৈতিক, সামজিক, ব্যাবসায়িক, সাংগঠনিক সকল সভা বা জমায়েত, পথযাত্রা, মানববন্ধন বন্ধ করা হয়েছে।
৯. ধর্মীয় আচার যেমন হিন্দুদের পুজা অর্চনা মন্দির প্রাঙ্গণে সিমিত করা হয়েছে। পাশাপাশি অসুস্থ যেমনঃ সাভাবিক হাঁচি কাশি, জ্বর, সর্দি আক্রান্ত ব্যাক্তিকে মসজিদে নামাজে না যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।। তবে সকল মসজিদের নিয়মিত নামাজের জামায়াত চলবে। মন্দিরেও নিয়মিত পূজা করবে পুরোহিত।
পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বী প্রার্থনা চলবে গনজমায়েত বাদে।করোনা প্রতিকারে এই আদেশগুলি মানতে কুষ্টিয়ার সকল বাসিন্দাদের মেনে চলার অনুরোধ করা হলো।
এপিএস নিউজ/টিআই