প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্ব শর্ত হচ্ছে সকল মানুষের সমান অধিকার। আর অধিকারটিতে সমান সুযোগ দেওয়ার বাস্তবায়নের পদক্ষেপও হচ্ছে ন্যায়কুঞ্জ। বিচার বিভাগে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ওয়ানস্টপ সার্ভিস বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ হচ্ছে ন্যায়কুঞ্জ।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে ডিজিটাল করা হচ্ছে। সেটি ধাপে ধাপে নিম্ন আদালত পর্যন্ত পৌঁছাবে।
বুধবার (১ মে) দুপুরে সিলেটের আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এই বিচারকুঞ্জে শুধু সাক্ষীরা বসবেন তা নয়, বিচার প্রার্থী সব মানুষই বসতে পারবেন। যিনি আসামি হয়ে জামিন প্রাপ্ত তিনিও সেখানে বসতে পারবেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১০টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ স্বাধীন ভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সম্মিলিত ভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রবাসে অবস্থানরতদের উদ্দেশ্যে তিনি নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতার আন্দোলনসহ দেশের সকল ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে আহবান জানান। প্রধান বিচারপতি সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ‘সিলেট নগরী লিপি’ রক্ষার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে আহবান জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতি ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন শাখা প্রধান, কাউন্সিলরবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের সম্মানে দাড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এসময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সংক্ষিপ্ত পরিচিত ও বদলে যাওয়া সিলেটের গল্প নিয়ে ছোট্ট প্রতিবেদন পরিবেশন করা হয়।