সবাই চায় তার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে। অনেকে বলে আমার ছেলে বড় হয়ে এটা হবে, ওটা হবে আরো কত কি? কিন্তু সন্তানের ভবিষ্যত গড়ে দিতে পিতা-মাতার কি ভূমিকা তা অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে মনে থাকে না । তাই পিতা-মাতাকে উদ্দেশ্য করে এই লেখা। পড়ে দেখতে পারেন।
১. সন্তানকে সময় দিন। জ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে সহজ ভাষায় তাদের সাথে আলাপ করুন। বুঝবে না, এই কথা ভেবে আলাপ থেকে বিরত থাকবেন না। সহজ ভাষায় বলেন, বুঝবে। আপনি তাদের অবুঝ মনে করলেও আসলে তারা অবুঝ নয়।
২. পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি শিশু-কিশোর উপযোগি সৃজনশীল অন্যান্য বই পড়তে দিন। এতে চিন্তার জগৎ বিস্তৃত হবে।
৩. বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিন।
৪. প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করুন। প্রশ্ন করলে ধৈর্যের সাথে সহজ ভাষায় বুঝিয়ে উত্তর দিন। অকারনে ধমক দিবেন না, তাতে জানার ইচ্ছা মরে যাবে।
৫. ক্লাসে ১০০ তে ১০০ নম্বর পাওয়া বা ফার্স্ট সেকেন্ড হওয়ার চেয়ে জানা ও বিশ্লেষণের শক্তি অর্জনকে বেশি গুরুত্ব দিন। না বুঝে মুখস্থ করে বেশি নম্বর পাওয়ায় কোন উপকার নেই।
৬. জ্ঞানমূলক ও মজাদার দেশি-বিদেশি ভিডিও, ডকুমেন্টারি ও বক্তব্য সংগ্রহ করে একসাথে দেখুন। প্রয়োজনে তাকে বিষয়বস্তু বুঝিয়ে বলুন। এতে জানার পরিধি বাড়বে।
৭. বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক জায়গাগুলোতে বেড়াতে নিয়ে যান। সরাসরি দেখে সে সম্পর্কে জানুক।
৮. স্কুলে ভালো পড়াশোনার পাশাপাশি বিতর্ক, আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতার মতো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন।
৯. মাতৃভাষার পাশাপাশি এক বা একাধিক বিদেশি ভাষায় দক্ষ হতে উৎসাহিত করুন।
১০. বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের ম্যাপ কিনে দিন। দেশ ও দুনিয়াকে চিনতে শিখুক ছোটবেলা থেকেই।
১১. বাড়িতে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি গড়ে তুলুন। জমি, ফ্লাট বা গাড়ির চেয়ে সন্তানের জন্য বড় উপহার লাইব্রেরি। অন্য খরচ কমিয়ে বই কিনুন। বই আপনার সন্তানকে গড়ে তুলবে।
আপনার বা আমাদের সন্তানদের বুদ্ধিদীপ্ত ও যোগ্য করে গড়ে তুলে আগামী দিনে একটি শক্তিশালী বাংলাদেশ নির্মাণ করতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ। সবাইকে সন্তানের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিন। আর সন্তানদের সাথে বেশি বেশি সময় দিন। এই সময় করোনা ভাইরাস ও সতর্কতা নিয়ে ও সন্তানের সাথে কাউন্সেলিং করতে পারেন।
আইনী পাঠশালা পরামর্শ সেল