সব
facebook apsnews24.com
প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে শর্ত সাপেক্ষে বাজেট থেকে বরাদ্দ দিতে হবে। - APSNews24.Com

প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে শর্ত সাপেক্ষে বাজেট থেকে বরাদ্দ দিতে হবে।

প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে শর্ত সাপেক্ষে বাজেট থেকে বরাদ্দ দিতে হবে।

বিগত ২০১৩ সালে জামায়াত ও বিএনপি সহিংসতার সময়ে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট-এর এক দল রাজনীতি সচেতন আইনজীবী নিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস নামক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করে। দলটির প্রতীক ডাব । দলের চেয়ারম্যান হলেন এ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন এবং মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম। দেশের দুই শক্তির বাইরে যখন বিকল্প কোন রাজনৈতিক দলের উত্থান কামনা করা হচ্ছে তখন বাংলাদেশ কংগ্রেস নামক রাজনৈতিক দলটির জন্মলাভকে অনেকেই ইতিবাচক ও বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে। মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলামের সাথে দলটির নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়  এপিএসনিউজ২৪.কম-এর। উক্ত আলাপচারিতায় দলটির সমন্ধে অনেক ইতিবাচক ও অজানা দিক প্রকাশ পায়।

বাংলাদেশ কংগ্রেস কি ও প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হলো কেন?

মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম: বাংলাদেশ কংগ্রেস একটি রাজনৈতিক সংগঠন। বাংলাদেশের প্রধান দুই দলের বাইরে জনগণ বান্ধব একটি দলের প্রয়োজনীয়তা সবাই অনুভব করছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ও জনগণের সকল মেীলিক মানবাধিকার রক্ষার ইতিবাচক মনোভাব থেকেই এই দল গঠন করা হয়। রাজনীতির ক্ষেত্রে পরিবর্তনের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে কাজ করবে এমন রাজনৈতিক দল দরকার আর এই প্রয়োজন পূরণ করতেই বাংলাদেশ কংগ্রেস নামক রাজনৈতিক দলটি গঠন করা হয়।


প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের অবদান কি?

মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম: বাংলাদেশ কংগ্রেস ২০১৩ সালের গঠিত হয়। যে মহান লক্ষ্য উদ্দেশ্যে নিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি গঠিত হয় তা বাস্তবায়ন করার জন্য সংগঠন নিরলস ভাবে কাজ করছে। বর্তমানের এই করোনা পরিস্থিতিসহ গত বছরে ঢাকায় ডেঙ্গু প্রকোপ কমাতেও বাংলাদেশ কংগ্রেস কাজ করেছিলো। এছাড়াও সরকারের কাজের গঠনমূলক সমালোচনাসহ সাধারণ জনগণের অধিকার ও দাবীর বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস ছিলো ও আছে ও থাকবে।

বাংলাদেশ কংগ্রেস কোন জোটে যাবে কি না বা আছে কি না?

মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম: বাংলাদেশে ক্ষমতায় যাওয়ার পর তা অপব্যবহার করা একটি অপস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ কংগ্রেস এই অপস্কৃতি নির্মুল করবে। শুধু ক্ষমতায় যাওয়া নয় বরং সাধারণের সার্বিক বিষয়ে নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কংগ্রেস দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আর তাই বাংলাদেশ কংগ্রেস বর্তমানে কোন জোটে নেই ও ভবিষ্যতেও জোটে যাবার কোন পরিকল্পনা নাই।

 বাংলাদেশ কংগ্রেস কি ক্ষমতায় গিয়ে সব পরিবর্তন করবে নাকি সব পরিবর্তন করে ক্ষমতায় যেতে চায়?

মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম: ক্ষমতায় যাবার আগে কাজ করার সুযোগ খুব সীমিত। তবুও বাংলাদেশ কংগ্রেস তার কাজগুলো করে যাচ্ছে। জনগণের সকল ন্যায্য দাবী দাওয়ায় তাদের পাশে থাকছে। সরকারের কাজে সাহসীকতার সাথে গঠনমূলক সমালোচনা করছে। সামগ্রিক পরিবর্তনের জন্য অবশ্যই ক্ষমতায় যাওয়ার প্রয়োজন আছে। তবে বাংলাদেশ কংগ্রেস জনগণের জন্য কাজ করে জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় যাবে ও জনগণের সকল প্রত্যাশা পূরণ করবে। জনগণের পাশে থাকে বলে বাংলাদেশ কংগ্রেস বিশ্বাস করে তারা আজ বা কাল বাংলাদেশের জনগণের শুধুমাত্র সরকার হিসেবে নয় সেবক হিসেবে সকল দ্বায়িত্ব পাবে।

ছাত্র রাজনীতি নিয়ে ভাবনা কি?

মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম: বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রদের অবদানকে অস্বিকার করতে পারবে না। মেধাবী, সৎ,যোগ্য ও জনগণ বান্ধব রাজনীতি পেতে অবশ্যই তৃণমূল থেকেই রাজনীতি করে উঠে আসতে হবে। এক্ষেত্রে ছাত্র রাজনীতি একটি বিরাট ভূমিকা বহন করে। বাংলাদেশ কংগ্রেস ছাত্র রাজনীতি নিয়েও কাজ করবে তবে সেটি এখনো বিবেচনাধীন।

বাংলাদেশ কংগ্রেস কেন অন্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে আলাদা?

মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম: বাংলাদেশ কংগ্রেস একটি গতানুগতিক ধারার রাজনৈতিক সংগঠন না। বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের শুধু মাত্র ক্ষমতায় যাওয়াই লক্ষ্য নয় বরং সংগঠনটি নিরলসভাবে জনগণের জন্য কাজ করছে ও করবে। জনগণ ভালোবাসেই আমাদের সমর্থন দিবে।
তবে বাংলাদেশ কংগ্রেস কেন অন্য দল থেকে আলাদা তার কয়েকটি কারন বলা যায়,
. বাংলাদেশ কংগ্রেস একটি গবেষণা ধর্মী রাজনৈতিক সংগঠন। বাংলাদেশ সহ অন্যান্য রাষ্ট্রের উন্নতি ও অবনতি নিয়ে তার অবিরত গবেষণা ও কোন পরিস্থিতিতে কোন ব্যবস্থা নিতে হবে সে সমন্ধে কাজ করছে নিরলস।
. বাংলাদেশ কংগ্রেসে মেধা, দক্ষতা ও বিশেষ যোগ্যতার প্রমাণ নিয়েই সদস্য অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
. বাংলাদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব নির্বাচেনে অনেক ধাপ অতিক্রম করার পরই যোগ্যতা বিবেচনা করে।
. প্রত্যেক সদস্যকে রাষ্ট্র সমন্ধে ইতিবাচক ও দেশপ্রেমিক হতে হয়।

এসব কারন ছাড়াও বাংলাদেশ কংগ্রেস মানবিক মূল্যবোধ তথা নীতি-নৈতিকথায় বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক সংগঠন যা ব্যাক্তি চিন্তা না করে বরং সামষ্টিক চিন্তা ও কাজের মাধ্যমে তার বিস্তার ঘটাচ্ছে।


আপনি যদি বাংলাদেশ কংগ্রেস সরকারের পক্ষে আইনমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পান তাহলে আইনের ক্ষেত্রে কোন কোন পরিবর্তন আনবেন?

মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম: বিচার বিভাগ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা না করতে পারলে সামাজিক অস্থিরতা ও অপরাধ বেড়ে যায়। জনগণের মেীলক চাহিদা, অধিকার বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। আর বর্তমান বিচার ব্যবস্থায় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতির কথা সবার জানা। সেই বিষয়গুলো কাজ করা জরুরী। আমরা দেশের সেবা করার সুযোগ পেলে সেদিক আন্তরিকতার সাথে নজর দিবো।

বিচারক নিয়োগ থেকে শুরু করে আইন তৈরীর প্রক্রিয়া এমনকি আইন শিক্ষায় যে পরিবর্তনগুলো দরকার সেগুলো নিয়ে চিহ্নিত সমস্যার বাইরে সুক্ষ্ম সমস্যাগুলো নিয়ে গবেষণা করে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আইনজীবী নাকি বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব কোন পরিচয়টি দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?

মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম: সময়ের বদলে রাজনৈতিক পদ ছেড়ে দিতে হবে। আমার স্থানে আর একজন আসবে। তবে রাজনৈতিক পদ ক্ষণস্থায়ী হলেও মানুষের জন্য যে কাজ  ও কাজ করার দ্বায়বদ্ধতা তা স্থায়ী ও অবিরত থাকবে। তবুও আইনজীবী যেহেতু স্থায়ী একটি পদ তাই সে পদেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তবে আমি ও আমার সংগঠন যে অবস্থানেই থাকুক না কেন তারা বরাবর জনগণের সাথে ছিলো, আছে ও থাকবে।

আপনাদের কিছু দাবী বা গবেষণা সমন্ধে জানতে চাই?

মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম: বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট অস্বিকার করা যাবে না। এখন নিজের আখের গোছানোর জন্য অনেকেই রাজনীতি করে; রাজনীতির মত সেবাকে অপবিত্র করছে। রাজনীতির ক্ষেত্রে আবার অনেক রাজনৈতিক সংগঠন অর্থের অভাবে তাদের প্রয়োজনীয় কর্মসূচীগুলোও পালন করতে পারে না। এছাড়াও নানা সমস্যা বিরাজমান বর্তমান রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। এই দিকগুলো বিবেচনা করে আমাদের সাম্প্রতিক কিছু দাবী ও গবেষণা আছে।

  • প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জন্য শর্ত সাপেক্ষে বাজেট থেকে কিছু বরাদ্দ দিতে হবে।
  • নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। তাদের জনবান্ধব কাজগুলোর বিষয়গুলোতে জবাবাদিহিতা তৈরী করতে হবে।
  • পলিটিক্যাল ট্রাইবুনাল গঠন করতে হবে যেখানে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বা রাজনৈতিকভাবে যে অপরাধ সংঘটিত হয় তার বিচার করতে হবে।
  • পলিটিক্যাল লিডারশীপ ইনিস্টিটিউট গঠন করতে হবে। প্রার্থী নির্বাচনসহ প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক শিক্ষা সেখান থেকে দিতে হবে।
  • নির্বাচনের সময় ব্যাপক হারে পোষ্টার বা মাইক ব্যবহারে সীমাবদ্ধতার জন্য যথাযথ আইন ও তার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

আমাদের এই পরামর্শ বা দাবী ছাড়াও আরো কিছু দাবী ও গবেষণা আছে যা বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিশুদ্ধ করতে যতেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারবে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের প্রতি আমাদের যে দ্বায়বদ্ধতা সে দ্বায়বদ্ধতা আমাদের পথ চলার পাথেয়।

এপিএসনিউজ২৪.কম-কে সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ।

মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম: এপিএসনিউজ২৪.কম-কেও ধন্যবাদ।

আপনার মতামত লিখুন :

পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করাই আমার মূল লক্ষ্যঃ পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক

পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করাই আমার মূল লক্ষ্যঃ পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক

টিভি সাংবাদিকতায় নতুন ধকল

টিভি সাংবাদিকতায় নতুন ধকল

ভালোবাসা দিবস কেন্দ্রিক নয় সার্বজনীন হতে হবে…..

ভালোবাসা দিবস কেন্দ্রিক নয় সার্বজনীন হতে হবে…..

দাম্পত্য সুখ ও সমৃদ্ধি পরিবার শুধু নয় দেশের জন্য ও সুখ সমৃদ্ধি আনে

দাম্পত্য সুখ ও সমৃদ্ধি পরিবার শুধু নয় দেশের জন্য ও সুখ সমৃদ্ধি আনে

‘ওপেনবুক’ পদ্ধতি আইনজীবী সনদ পরীক্ষা নিতে হবে।

‘ওপেনবুক’ পদ্ধতি আইনজীবী সনদ পরীক্ষা নিতে হবে।

প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে শর্ত সাপেক্ষে বাজেট থেকে বরাদ্দ দিতে হবে।

প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে শর্ত সাপেক্ষে বাজেট থেকে বরাদ্দ দিতে হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার: ApsNews24.Com (২০১২-২০২০)

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
০১৬২৫৪৬১৮৭৬

editor@apsnews24.com, info@apsnews24.com
Developed By Feroj