একান্ত সাক্ষাৎকারে পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক বলেন, “পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করাই আমার মূল লক্ষ্য”
বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন)জনাব মোঃ নাইমুল হক, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত একজন সফল অফিসার। বরিশাল জেলায় কর্মরত থাকা কালিন সময়ে অসংখ্য প্রশংসনীয় কাজ করেছেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অধঃস্তন কর্মকর্তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান, জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব,নেতৃত্ব দান এবং করোনা কালীন সময়ে একজন মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে তিনি যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন। অতি সম্প্রতি তিনি পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে কক্সবাজার জেলায় ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন। আমাদের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি তার সফলতার কাহিনী ব্যক্ত করেছেন । নিম্নে তা সংক্ষিপ্তাকারে পাঠকের জন্য প্রকাশ করা হলো।
প্রশ্ন- কেমন আছেন?
উত্তর- জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রশ্ন- বরিশাল জেলায় সফলতার সাথে কাজ করেছেন । আপনার এই সফলতার মূল রহস্য কি?
উত্তর- পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করেছি। আমার মনে হয় পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করলে সব সময় সফল হওয়া যায়। তাছাড়া আমার স্ত্রী এবং মেয়েরা আমাকে সবসময় উৎসাহ যুগিয়েছে।
প্রশ্ন- আমরা দেখেছি বরিশাল জেলার মিডিয়াকর্মীদের সাথে আপনার একটা চমৎকার বোঝাপড়া রয়েছে। এটি কিভাবে সম্ভব হলো?
উত্তর- আসলে মিডিয়াকর্মীরা কি চায় সেটি আমি প্রথমে বোঝার চেষ্টা করি। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। পুলিশ এবং মিডিয়া সব সময় পাশাপাশি কাজ করে থাকে।
প্রশ্ন- আপনার কর্মকালীন সময়ে বরিশাল জেলায় আপনার কিছু সফলতার কথা বলুন।
উত্তর- বরিশাল জেলায় আমরা জেলা পুলিশের একটি টিম হিসেবে কাজ করেছি। উজিরপুরের জল্লা চেয়ারম্যান মার্ডার, বাকেরগঞ্জের ডাবল মার্ডার, বানারীপাড়ার ট্রিপল মার্ডার, মেহেন্দিগঞ্জের আলোচিত ইমামের গলায় জুতার মালা পরানোর চেয়ারম্যান কে গ্রেপ্তার, মহানবী ( স ) কে অবমাননা করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দানকারীকে গ্রেপ্তার, মুলাদি তে গলাকাটা লাশের রহস্য উদঘাটন, হিজলা থানায় শিশু হত্যা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ রহস্য উদঘাটন করেছি। পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।
প্রশ্ন- করোনা কালীন সময়ে আপনাকে বিভিন্ন মানবিক কাজে দেখা গিয়েছে।
উত্তর-বাংলাদেশ পুলিশের মাননীয় আইজিপি স্যারের দিকনির্দেশনায় আমরা কাজ করেছি। আমার সহধর্মিণী রেহানা ফেরদৌসী এই কাজে আমাকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ।
প্রশ্ন- সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার বেশ কিছু বিনোদন মূলক কাজ আমাদের চোখে পড়েছে। উক্ত কাজগুলো দেখে পুলিশ বাহিনীর প্রতি সবার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা এবং ভালোবাসা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমরা মনে করি।
উত্তর-মাননীয় আইজিপি স্যারের স্বপ্ন পুলিশ কে নতুন রুপে আধুনিক পুলিশ বাহিনী হিসেবে জনগণের নিকট উপস্থাপন এবং পুলিশের প্রতি মানুষের অতীতের ধ্যান ধারণা পরিবর্তন করার জন্য আমি এই কাজ গুলো তৈরি করেছি।
প্রশ্ন-সম্প্রতি কক্সবাজার জেলায় অধিনায়ক, ১৪ এপিবিএন হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
উত্তর-বর্তমান প্রেক্ষাপটে কক্সবাজার খুব ই গুরুত্তপূর্ণ এলাকা। অন্যান্য ইউনিট গুলোর সাথে মিলেমিশে এখানে ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে যাব।
প্রশ্ন-আপনার বাবা কি একজন মুক্তিযোদ্ধা?
উত্তর-হা। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারন করেই কাজ করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন-আপনার ভবিষ্যৎ কর্মজীবন আরো সুন্দর হোক সেই কামনাই করছি।
উত্তর- আপনাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ।