আইমান সাদিক ,তার প্রতিষ্ঠান ও সহকর্মীদের কার্যক্রম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তপ্ত।

আইমান সাদিকদের সরাসরি এ এওয়ার্ড দেয়া হয়নি। এর আগে পরে তাদের বেশ কিছু কোর্স ও ওয়ার্কশপে অংশ নিতে হয়। কয়েক মাসব্যাপী কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে লিডারশিপের উপর বিশেষ কোর্স করানো হয়। এছাড়া কমনওয়েলথ এর মহাসচিব এর সাথে আলাপ করানো হয়। বিসিবি ও ফেসবুক হেডকোয়ার্টারেও ওয়ার্কশপে অংশ নিতে হয়। কানেক্ট করা হয় বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনারের সাথে এবং আইমানকে কমনওয়েলথের সাথে কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়। এর মাধ্যমে বলা যায় আইমান সাদিকে তাদের কর্মী বানিয়ে ফেলা হয়।

আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি আইমান সাদিককে কমনওয়েলথের সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে। বর্তমানে কমনওয়েলথের অন্যতম এজেন্ডা হলো কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহে সমকামীতার মতো ঘৃণ্য পাপ বৈধকরণ। এরই মাঝে আইমান সাদিকের সহকর্মীদের দেখা যাচ্ছে সমকামিতার অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিতে। যাতে তরুণ সমাজ বিষয়টি স্বাভাবিক ট্রেন্ড হিসেবে নিতে পারে। তরুণ প্রজন্ম সমকামিতাকে অধিকার হিসেবে দেখলে, বাংলাদেশেও সংবিধান পরিবর্তন করে সমকামিতা বৈধকরণ সহজ হবে।

এছাড়া আইমান সাদিক ও তার ১০ মিনিট স্কুল চ্যানেলে ইসলামী মূল্যবোধের বিরুদ্ধে পশ্চিমা অপ-চিন্তার প্রসার ঘটানো হচ্ছে বলে ইতিমধ্যে তাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টিও হয়েছে। প্রমোট দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ব্যক্তিবর্গদের । বিতর্কিত অশ্লীল নাট্যকর্মী মিথিলা ও সমকামী সমর্থক সাকিব বিন রশিদকে দিয়ে টেন মিনিট স্কুলের কন্টেন্টের নামে আসছে নানা অনৈতিক বয়ান। মিথিলা ও সাকিবের কিছু বক্তব্য হচ্ছে এরকম ,

-“বিয়ে করা বউ মানে সে আপনার সম্পত্তি না তার মতামতের বাইরে শারীরিক সম্পর্কটাও ধর্ষণ৷”আচ্ছা বিয়ের সম্মতি কী অনুমতি নয় ? বৈবাহিক ধর্ষণ বলে আসলে কি বুঝাতে চায় ? আবার একই ভিডিওতে বিয়ে বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ককে পরোক্ষভাবে সমর্থন করা হয়েছে। এমন অভিযোগ এনেছেন বেশ কয়েকজন ইসলামী চিন্তাবিদ৷

নাচ গান শিখান ও ললিত কলায় নিয়ে আসুন । দশম শ্রেণীতে উঠলে পড়াশোনার ক্ষতি হবে ভেবে এসব এক্টিভিটি বন্ধ করবেন না।

মেয়েদের রাতে একা বাইরে সময় কাটাতে না দেয়া, বন্ধুদের (ছেলেমেয়ে উভয়) সাথে লং টুরে যেতে না দেয়া নাকি পিতা মাতার অপরাধ।

আসলে টেন মিনিট স্কুল একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে এসকল কনটেন্টের মাধ্যমে আসলে কী বিস্তার করতে চাচ্ছে তা আর সচেতন মানুষদের খুলে বলার প্রয়োজন বলে মনে হয় না। কয়েক বছর যাবত টেন মিনিট স্কুলে উপদেশ(!) দিতে নিয়মিত হাজির হচ্ছেন প্রথম আলোর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান লিবারেল মাসিক জার্নাল কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকও লেখক জাফর ইকবাল কে৷যাদের সম্পর্কে ইতিমধ্যে অনেকেই ধর্ম বিরোধী কথা বলার অভিযোগ এনেছে৷

এছাড়া আয়মান সাদিক নিয়মিত প্রোমোট দিয়ে যাচ্ছেন কিছু ভালগার বিতর্কিত ইউটিউবারদের। যারা সাধারণ তরুণদের কাছেও চরমমাত্রায় বিতর্কিত অত্যাধিক অশ্লীলতা ও নগ্নতা ছড়ানোর জন্য । বিশেষভাবে সালমান মুক্তাদির , যাকে অশ্লীলতা ছড়ানোর জন্য গতবছর পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারপূর্বে সে গানটি ডিলিট করে এবং পরবর্তীতে ছাড়া পায়। সৌভিক, যে অশ্লীল গানের সুটিং করতে যেয়ে গরুর হাটে গনধোলাই খেয়েছিলেন।রাবা খানের মতো বিতর্কিত নির্লজ্জ নারী ইউটিউবার, অশ্লীল পোশাকের নর্তকী রিদি শেখ ও ভালগার গানের মডেল সৌমিক। এরকম অনেক যুবক-যুবতীদের কাছেই এখন আইমান সাদিক তরুণ প্রজন্মের আইডল। এদেরকে তার নিজের চ্যানেলে আনা হচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য।

এছাড়া নারী-পুরুষের ফ্রিমিক্সিং, ছেলে ও মেয়ে টিচারদের হাতধরাধরি, বেহায়াপনা ও লিবারেলিজমের পাঠ তো এখন ১০ মিনিট স্কুলের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। আইমান সাদিক ক্লাসের বাইরে ছাত্রদের ব্রেনওয়াশ করাচ্ছে সাকিব বিন রশিদ ও নানা অসভ্য কর্মে লিপ্ত মানুষদেরকে প্রমোট করে এমন অভিযোগ করেছেন অনেক অভিভাবকেরা। যা সচেতন অভিভাবকদের শঙ্কিত করছে।

সর্বশেষে, আইমান সাদিকের ভালো কথা ও ভালো কাজসমূহ অস্বীকার করার মত না,তবে সে কিছু ভালো কাজ করেছে বলে খারাপ কাজের বৈধতা পেয়ে যাওয়ার কথাও নয় এমনটাই বলছেন দেশের সাধারন জনগনেরা৷

আইমান সাদিকের ফ্যানদের প্রতি সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধিরা বলেন যে-“আমাদের তার প্রতি কোনো বিরোধ নেই, বরং আমরা সমকামিতা ও বেহায়াপনার বিরোধীতা করছি।”তারা আরো বলেন যে-“ভিনজাতির যারা আজ আইমান সাদিককে প্রমোট করছে তারাই পূর্বে আমাদের সম্পদ লুণ্ঠন করে আজকে অর্থ ও সম্পদের জৌলুশ দেখাচ্ছে। এওয়ার্ড দেয়ার নামে ভালো মন্দ নির্ণয়কের আসনে সমাসীন হয়েছেন। মনে রাখবেন তারা আমাদের বন্ধু অতীতেও ছিল না ,এখনোও নয়।”

যেকোনো কাজের সমালোচনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক৷তাই সব কিছু বিবেচনা করে সবাই যে যার জায়গা থেকে সবার কল্যাণের জন্য কাজ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা সাধারন জনগনের৷