মোঃ আনিসুর রহমান আগুন
হে ঘুষখোর! তুমি কি মনে কর!
তোমার সন্তানদের আল্লাহ রিজিক দেবেন না!
যে আল্লাহ তোমার রিজিকের ব্যবস্থা করছেন-
সে তোমার সন্তানদের রিজিক দিতে অক্ষম না।
হে ঘুষখোর!
তোমার ছেলেমেয়েরা কি পঙ্গু কোন প্রতিবন্ধী!
আর যদি তা হয়ও ত তাদের দায়-দায়িত্ব নেবে সরকার,
তাহলে বল, ঘুষ খাওয়ার তোমার কি দরকার!
হে ঘুষখোর!
তুমি কি মনে কর;
তোমার ছেলেমেয়েরা কামাই রোজগার করে খেতে পারবে না!
যদি মনে কর পারবে,
তাহলে কেন তুমি ঘুষ খাও-কার জন্য এত টাকার পাহাড় গড়বে।
হে ঘুষখোর!
তুমি কি তোমার কাজের বেতন-ভাতা পাওনা!
আর যদি পাও,
তাহলে কিভাবে নিমক হারামের মত টাকা চাও!
কিভাবে নির্লজ্জের মত তোমার হাতটি বাড়াও!
হে ঘুষখোর!
যদি ঘুষের টাকায় বাড়াও তোমার খাদ্য গুদামের মত ভুঁড়ি,
তাহলে ডাক্তার নামের কসাইখানায় বসাবে তোমার পেটে ছুরি।
হে ঘুষখোর!
যদি ঘুষের টাকায় ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা করে গড়াও,য
দি তাদের পিছনে লাখ লাখ টাকা ছড়াও,
তবে তুমি কি প্রত্যাশা করতে পারো তাদের নিয়ে!
নিজের ছেলেমেয়েকে প্রতিষ্ঠিত কর যদি পরার পয়সা দিয়ে!
সে সন্তান কি তোমার!
নাকি ঘুষ দাতাদের!
হে ঘুষখোর!
তুমি যদি তা না কর তবে কেন ঘুষ খাও!
আর নিজে নিজের পাপের বোঝা বাড়াও।
হে ঘুষখোর!
যারা করে ঘুষ নেয়া দেয়ার প্রতিযোগিতা,
তারা কোনো ধর্মেরই নয় তাদের ভিতরে নেই কোন ধার্মিকতা।
হে ঘুষখোর!তাই নিজের মনকে দাও বুঝ,
আর দাও ছেড়ে দাও ঘুষ।
নইলে আজ ঘুষের টাকায় হও যতই নামী-দামী,
পরকালে হবে তুই নিশ্চিত জাহান্নামী।
(উৎস্বর্গ – মিথুনকে)
মোঃ আনিসুর রহমান আগুন
কবি ও সাংবাদিক