বাল্যবিবাহ জি.এম.শিমুল
হঠাৎ করে কানে বেজে উঠিল শানাইয়ের সুর। চারিদিকে রঙিন বাতির ঝলকানি, আমি বেশ খুসি, হচ্ছে বিয়ে, বাজছে শানাই, বাহহ নানান খানাপিনার আয়োজন। হঠাৎ করে মনে পরিলো, দেখেনি তো বর-বউ এখনো! ছুটে চললাম দেখিতে তাহাদের চাঁদ মুখ দু'খানি। আঁহহ্, দেখে তো অবাক আমি। একি আজব কার্সাজি, এতবড় ধোকায় পরিলাম আমি! হাতে ঘসতেছি বার বার মোর চোখ দু'খানি। ভেবে পাচ্ছি না আমি! কেনো বিয়ে দিচ্ছে? বাচ্চা ছেলে মেয়েদের জানি না আমি। তারা কি জানে না! এটা অন্যায়, মস্তবড় অপরাধ। তারা কি জানে না আইনে বাল্যবিবাহ মহাপাপ। আমি তো অবাক! তারা শানাই বাজিয়ে দু'টি জীবনকে করে দিচ্ছে বরবাদ। আমি সত্যিই অবাক! কেমন তারা মাতাপিতা! কেমন আত্বিয় স্বজন। নষ্ট করে দিচ্ছে তারা ফুলের মত দু'টি জীবন। আমি পারিলাম না করিতে সয্য, উঠিলাম চিৎকার করে, বলিলাম বর্জকন্ঠে বন্ধ করুন এ বিয়ে। শরীরে আমার রাগের আগুন, চোখ মুখ লাল। মেয়ের বাবা বলিলো ডাকিয়া, কি হয়েছে তোমার আব্বাজান। আমি উচ্চস্বরে বলিলাম ডাকিয়া, বন্ধ করুন এ বিয়ে নয়তো আমি ডাকিবো পুলিশ, অভিযোগ বাল্যবিয়ে। ভদ্র ভাষায় এজন বলিলো কি আমাদের অপরাধ, কেনো করতে চাও থানা পুলিশ, কেনোই বা তোমার এত রাগ? ওহে কাকা, আপনিতো ভদ্রলোক তবে কেনো প্রশ্রয় দিচ্ছেন বাল্যবিবাহের? রেগে গেলো বরের বাবা, ঘারে আমার দিলো ধাক্কা, পরে গিয়ে রক্তের বন্যা, হাটু গেলো কেটে। বরের বাবা চোর বলে দিলো আমায় পুলিশের হাতে তুলে। পুলিশ নাহি শোনে মোর কথা, চিৎকার করে গলা গেলো ফেটে। বাহহহ আমার কথা শুনছি না আমি তাকে শুনাবো কি করে। কষ্ট মনে চুপটি করে ভাবতেছি আমি মনে-মনে। বাল্যবিবাহ বন্ধ করিবে না আমাদের সমাজ কোনোদিনও। কবি জি এম শিমুল।