দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্য অধস্তন আদালতে ট্রায়ালসহ সব ধরনের মামলা কার্যক্রম চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসছেন।
অন্য দিনের তুলনায় বিচারপ্রার্থীর সমাগম কমলেও আজ রোববার বিচারক ও আইনজীবীর উপস্থিতি কমেনি। ইতিমধ্যে ঢাকা আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ আইন সমিতি, ঢাকাস্থ টাঙ্গাইল আইনজীবী কল্যাণ সমিতি, ঢাকা আইনজীবী কল্যাণ সমিতি, ময়মনসিংহ আইনজীবী কল্যাণ সমিতি ট্রায়াল মামলা মুলতবি করে আদালতের কার্যক্রম সীমিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ আইন সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেশব রায় চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, পত্রিকায় দেখেছেন, অধস্তন আদালতে বিচারপ্রার্থী আইনজীবীসহ বিপুল জনসমাগমের কারণে সমিতির পক্ষ থেকে আদালতের কার্যক্রম সীমিত করার আহ্বান জানানো হয়েছি।
১৯ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করাসহ আসামিদের আদালতে উপস্থাপন না করার নির্দেশ দিয়েছেন। আসামির হাজিরা না থাকার আবেদন মঞ্জুর করতে বলেছেন তিনি। কিন্তু এতে চলমান বিচারাধীন মামলাগুলোর আপত্কালীন স্থগিত রাখার কোনো নির্দেশ আসেনি।
এ বিষয়ে আইনজীবী আমিনুল গনি টিটু বলেন, অধস্তন আদালতগুলোতে ট্রায়াল কোর্ট বন্ধ করা জরুরি। তা না হলে বিচারক ও আইনজীবীদের ঝুঁকির মধ্যেই থেকে যাবেন। ট্রায়াল মামলাগুলোর জন্য বিচারক ও আইনজীবী উভয়কেই আসতে হচ্ছে। বর্তমানের মামলাগুলো যেভাবে আছে, ওই অবস্থায় রেখে বদলি আদালত ছুটি ঘোষণা করা উচিত। জরুরি বিষয়গুলোর এ জন্য একজন স্পেশাল অফিসার রাখা হোক।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, সমাজের সব মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এর মধ্যে বিচারক, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছেন। তাই ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলো সীমিত পরিসরে কার্যক্রম চালু রেখে বাকি মামলা মুলতবি করাটা জরুরি। আদালত বন্ধ করার ক্ষেত্রে অধস্তন আদালতগুলো প্রধান বিচারপতির দিকে তাকিয়ে আছেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত ও তথ্য প্রসিকিউশনের উপপুলিশ কমিশনার মো. জাফর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের হাত ধোয়া ও মাস্ক ব্যবহার করা হয়েছে। গারদখানার ভেতর আসামিদের প্রাথমিক পরীক্ষা করার জন্য একটি রুম করা হয়েছে। দ্রুত মেডিকেলে পাঠানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে রিমান্ডের আসামিরা ছাড়া অন্য কোনো আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করা হচ্ছে না।