তুমি বাহিরে তাকাও তুমি আজ বাহিরে তাকাও খোলা বারান্দায় আকাশের দিকে তাকাও দেখো এবং নিবিড়ভাবে দেখো ক্ষমতার দাম্ভিকতায় তৈরী যুদ্ধজাহাজ অস্তিত্ব প্রমাণে উড্ডীন সমরাস্ত্র আজ কতোটা বিকল। উঁচু উঁচু ইমারত ইন্ডাস্ট্রিজ অফিস-আদালত পার্কের কোণায় ফুটন্ত গোলাপ ফুটে আছে জন্মের মতো একা। প্রেমিক প্রেমিকার কলতানে মুখরিত উদ্যান যেন প্রেমহীন নিশ্চুপ। প্রতি নিশ্বাসে জামা হচ্ছে শয়ে শয়ে লাশ গণকবর। অদৃশ্য শত্রুর কাছে পৃথিবী আজ কুরুক্ষেত্র। তোমার চালের গুদাম খোলা আছে দরিদ্রের নামে দিস্তা দিস্তা পাতায় দেয়া আছে প্রণোদনা প্যাকেজ অথচ শ্রমিকের উনুনে আগুন নেইলুট করে নিয়ে গেছে পুরনো শকুন। যারা একদিন এভাবেই অভিশপ্ত করেছিলো পিতাকে অবেলায় অসুখে বাড়িয়ে ছিলো মৃত্যু রোগ আজো সেই মৃত্যুমিছিল দাঁড়িয়ে দুয়ারে। তুমি আজ বাহিরে তাকাও দেখো এবং নিবিড়ভাবে দেখো একে একে থমকে যাচ্ছে পৃথিবীর চাকা, বস্তুত রাজনীতি অর্থনীতি সংস্কৃতি সর্বোপরি মানুষের পথচলা। রক্তে আনো বৈপরীত্য, বুকে কিছুটা ক্ষুব্ধ আগুন তপ্ত সীসার মতো গলে গলে নিঃশেষ হযে যাক হিংসা ক্রোধ শিহরণ। এখনো হেমলক বিষ তুলে দেওয়া হয়নি মুখে এখনো দোয়াতের কালি হেরে যায়নি রক্তচক্ষুর কাছে তোমাকে বলতে হবে শেষ নিঃশ্বাস অবধি মানুষের পক্ষে মানুষের জন্যেমানুষের কথা বলা আজ বড্ড প্রয়োজন। এই নিদারুণ দুঃসময়ে তুমি বাহিরে তাকাও....
—নাদিম সিদ্দিকী, কবি ও শিক্ষা আন্দোলন কর্মী