নাহিদ শাহীন
দলে দলে ঢাকা ছাড়ছে লোকজন। তাদের চোখে মুখে করোনা ভাইরাসের ভয় বা আতংক কিছুই নেই, আছে কেবল নিজ বাড়িতে যাবার আনন্দ। মুখে সেই রকম হাসির ঢেউ। সকালে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের এই চিত্র। টিকিট নেই বেশির ভাগ পরিবহনের। লোকজনের ভাবনায় নেই নিরাপত্তা ও নিরাপদ থাকার বিষয়টি। সচেতন থাকার এতো প্রচার প্রচারণা বিধি নিষেধ আইন-কানুন কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না তারা।
তাহলে স্কুল কলেজ সরকারিভাবে বন্ধ ঘোষণায় কি লাভ হলো? সরকারি ভাবে ও ব্যাপক সচেতনতামূলক Face booking ও জনগনকে বাসায় ধরে রাখতে পারছেনা। ঈদের খুশিতে ছুটছে তারা নাড়ির টানে গ্রামের প্রানে। সরকারি নির্দেশ না মানাও যে আইন ভঙের দন্ডে জনগন দন্ডিত হতে পারে সে ব্যাপারে ভ্রুুক্ষেপ নেই আমাদের জনগনের। এভাবে গাদাগাদি করে বাস, ট্রেন ও বিমানবন্দরে লোকজনের ঘন জমায়েত ঘটলে হিতে বিপরীত হতেই পারে।
এই বৈশ্বিক সমস্যায় শুধু সরকার একা নয় জনগণকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে, সচেতন হতে হবে এবং সর্বোপরী আইন মানতে হবে। তা নাহলে এমন ভয়াবহ দূর্যোগ কাটিয়ে উঠা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এখন থেকেই জনগনকে আতংকিত না হয়ে সচেতন হতে হবে।
এ্যাডভোকেট নাহিদ শাহীন, জজকোর্ট, ঢাকা ।