বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছেন যে দুইজন কবি তাদের মধ্যে কবি ফররুখ আহমদ অন্যতম। ফররুখ জাতিসত্ত¡া ও গণমানুষের কবি ছিলেন। বাংলাদেশের কবি, গণমানুষের কবি ফররুখ আহমদ। তার কবিতায় বাংলাভাষা ও বাংলাদেশের মানুষের জীবনচিত্র অসাধারণভাবে ফুটে উঠেছে। তার কবিতায় তিনি তুলে এনেছেন বাংলার শেকড় ও সংস্কৃতি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) কবি ফররুখ আহমেদের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠনক “আবাবালী’এর তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহাপাঠের পর উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কবি ফররুখ আহমদকে আমরা ইতিহাস থেকে বাদ দেবার চেষ্টা করছি। যা অন্যায়। ফররুখ আহমদ যদি স্বাধীনতার পর নিজের আদর্শ বিসর্জন দিতেন তাহলে তার কোনো সমস্য হতো না। কিন্তু তিনি তা না করায় তাকে বিভিন্নভাবে অপমানিত করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আরব্য উপন্যাসের দুঃসাহসী সার্থক নাবিক সিন্দাবাদ কঠিন বিপদসঙ্কুল মুহূর্তে জাহাজের হাল ধরে যেমনি জাহাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে নিরাপদে সমুদ্রবন্দরে নোঙর করাতে সক্ষম হয়েছিলেন, তেমনি অসহায়তা-অলসতা ও পশ্চাদপদতার অন্ধকার ঘূর্ণাবর্তে নিপতিত মানবতা রক্ষার্থে আমাদের সাহিত্য ভূবনের এক দুঃসাহসী ও মানবতাবাদি কবি হলেন ফররুখ আহমদ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব ও আবাবীল সিনিয়র সহ-সভাপতি এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আকবর মোহাম্মদ, জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন সমন্বয়ক কৃষক মো. মহসীন ভুইয়া, সংগঠনের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবি আবদুস সালাম চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন বাবলু, দপ্তর সম্পাদক তৈয়ব হোসেন লাবলু প্রমুখ।