সব
facebook apsnews24.com
বৃক্ষরোপন করি,পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তুলি। - APSNews24.Com

বৃক্ষরোপন করি,পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তুলি।

বৃক্ষরোপন করি,পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তুলি।

প্রকৃতির শোভা বর্ধনেই নয়— গাছ আমাদের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করে। গাছ থেকে যে পরিমাণ অক্সিজেন আমরা গ্রহণ করি ঠিক সেই পরিমাণ মানুষের শরীর থেকে বের হওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নেয় গাছ। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের দেশের আয়তন ও জনসংখ্যানুপাতে ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন কিন্তু বর্তমানে দেশের বনভুমির পরিমাণ যা থাকার দরকার তার থেকে অর্ধেকে নেমে এসেছে।জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা (এফএও) এর বনবিষয়ক এক প্রতিবেদনে (দ্য স্টেট অব গ্লোবাল ফরেস্ট-২০১৮) বলেছে, বাংলাদেশের মোট ভূখণ্ডের সাড়ে ১৩ শতাংশ বনভূমি। তবে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এই তথ্য মানতে নারাজ। মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশের মোট আয়তনের ১৭ শতাংশ বনভূমি (বন ও বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা)।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। আগেকার দিনে চারদিকে যে গাছপালা দেখা যেত, তার তিনভাগের একভাগও এখন দেখা যায় না।বছরের পর বছরের দেশ থেকে উজাড় হচ্ছে হাজার হাজার হেক্টর বনভুমি।বৃক্ষ নিধন বা বন উজাড়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে,অধিক জনসংখ্যা,যাদের আবাস্থলের চাহিদা মেটাতে গিয়ে নিধন করা হচ্ছে হেক্টরের পর হেক্টর বনভুমি।এছাড়াও সিভিলাইজেশ্যন এর যুগে কল-কারখানা স্হাপিত করতে আমরা বনাঞ্চল ধ্বংস করছি।যে গাছ আমাদের প্রাণ রক্ষা করছে তাকে আমরা হরহামেশাই ধ্বংস করছি। এছাড়াও বর্তমানে যে ইট ভাটার আধিক্য যেখানে জ্বালানি কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বৃক্ষ যা বেআইনি। কিন্তু আমরা সেই বেআইনি কাজ হরহামেশাই করে যাচ্ছি।এছাড়াও ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা বসতি স্থাপনের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে উজাড় হয়েছে ছয় হাজার একরের ও বেশি বনভূমি।এমন হাজারো উদহারন আছে যার মাধ্যমে ধ্বংস হচ্ছে আমাদের বনভুমি।বৃক্ষ নিধনের ফলে আমরা যে কতোবড় ক্ষতি করছি নিজেদের তা আমরা বুঝতে পারছি না।পযার্প্ত পরিমাণ বনভুমি ও বৃক্ষ না থাকার কারণে আমাদের প্রতিনিয়ত যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তার মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, মরুময়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাতাসে কাবর্ন-ডাইঅক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে, জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর ক্লোরোফ্লোরো কাবর্ন, মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমাণ অনেক অনেক গুণ বেড়ে যাচ্ছে, বায়ুমন্ডলের ওজন স্তরে ফাটল সৃষ্টি হচ্ছে ফলে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে চলে আসছে। এসিড বৃষ্টি ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মেরু অঞ্চল ও এন্টারটিকা মহাদেশের বরফ গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবতের্নর ফলে আগামী ২ দশকের মধ্যে সারা বিশ্বের ৬০০ মিলিয়ন মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে গবেষক ও বিশ্লেষকদের ধারণা। জলবায়ু পরিবতর্নজনিত কারণে বতর্মানে বাষির্ক ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১২৫ মিলিয়ন মাকির্ন ডলার যা ২০৩০ সাল নাগাদ ৩৪০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে এবং জলবায়ু পরিবতের্নর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ।এছাড়াও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে গেলে বাংলাদেশকে বনভূমির পরিমাণ ২২ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে।তাই আমরা যদি পৃথিবীতে টিকে থাকতে চাই তাহলে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নাই।আমরা জানি বাংলাদেশে বৃক্ষরোপণের মোক্ষম সময় হলো জুন-জুলাই মাস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন এবছর বাংলাদেশে তিনকোটি গাছ রোপন করা হবে।এখনই সময় আসুন না আমরা সবাই নিজ নিজ স্হান হতে অন্তত একটি করে হলেও গাছ লাগাই। যার যেখানে যতোটুকু জায়গা পড়ে আছে সেখানেই আমরা গাছ লাগাই।আসুন আমরা বৃক্ষ রোপন করি, পৃথিবী কে বসবাস করার যোগ্য করে তুলি। 

রাশেদ হোসাইন
এলএলবি(অনার্স)এলএলএম(মাস্টার্স)(চলমান)
আইন বিভাগ,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া। 
মেইলঃrashedhossain374@gmail.com

আপনার মতামত লিখুন :

৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, পাশ করেছেন ১১ হাজার ৭৩২

৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, পাশ করেছেন ১১ হাজার ৭৩২

দু:খের ঘরের সুখপাখিও চলে গেল ওপারে

দু:খের ঘরের সুখপাখিও চলে গেল ওপারে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিয়া রহমানের ইন্তেকাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিয়া রহমানের ইন্তেকাল

অবন্তিকার মায়ের আহাজারি-মেয়ে আমার বিচারক হতে চেয়েছিল

অবন্তিকার মায়ের আহাজারি-মেয়ে আমার বিচারক হতে চেয়েছিল

জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা, রাতভর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা, রাতভর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

ঢাকা কলেজ’৯০ এর কমিটি গঠন: সভাপতি সজীব, সাধারণ সম্পাদক রুপন।

ঢাকা কলেজ’৯০ এর কমিটি গঠন: সভাপতি সজীব, সাধারণ সম্পাদক রুপন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার: ApsNews24.Com (২০১২-২০২০)

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
০১৬২৫৪৬১৮৭৬

editor@apsnews24.com, info@apsnews24.com
Developed By Feroj