ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯ দিনে প্রায় সাড়ে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
গত ৬ জুন থেকে রবিবার পর্যন্ত ডিএনসিসি এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে এই জরিমানা করা হয়। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসি এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) পরিচালনা করছে।
এই ৯ দিনে ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ২০ হাজার ৮৩৩টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১ হাজার ৪৩৩ টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৮৩ হাজার ১৫৬ টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। মোট জরিমানা আদায় করা হয় ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা।
অভিযানের নবম দিনে আজ ১৩ হাজার ২০৫ টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে ১৬৪ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ৮৪৭ টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আজ ২০টি মামলায় মোট ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও এডিসের লার্ভা পাওয়ায় অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে বলে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আজ উত্তরা এলাকায় মোট ৭৬০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৬টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৫৯৮টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উত্তরা ও খিলক্ষেত এলাকায় ৮টি মামলায় মোট ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
মিরপুর-২ অঞ্চলে আজ ২ হাজার ৯৪১ টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৩ টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ৪৩৫ টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আজম ২, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৬টি মামলায় মোট ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
মহাখালী অঞ্চলে আজ ১ হাজার ৫২৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪৫টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৯৫১টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাহিদ আহসান খিলগাঁও তালতলা এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬টি মামলায় মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৫০টি স্থাপনার মালিকদের সতর্ক করেন।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে ১ হাজার ৬৫৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৭০৬টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে ১ হাজার ৯৯৭টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২২টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ৬৯৩টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
হরিরামপুর অঞ্চলে মোট ১ হাজার ৪৫৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৫টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ২৮৭টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে মোট ৮৭৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৭৪২টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে মোট ৭৫২ টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫ টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৪৭৯ টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারা অঞ্চলে আজ ৪৯২টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১২টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৩৪২টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাতারকুল অঞ্চলে আজ ৭৪৩টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৬১৪টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকা স্থানসমূহে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।