শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য হাটহাজারীতে একটি ফিল্ড হাসপাতাল বানানোর উদ্যোগ নিচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন। এ বিষয়ে চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।
অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, করোনার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে হাটহাজারীতে একটি ফিল্ড হাসপাতাল বানানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত কিছু মানুষের সঙ্গে আলাপ করেছেন। এ ব্যাপারে হাটহাজারীর ইউএনও’র সঙ্গেও চবি কর্তৃপক্ষ আলোচনা করেছে। হাটহাজারীর কোনো একটি খোলা জায়গায় এই ফিল্ড হাসপাতাল বানানোর বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হাসপাতালসহ মোট সাতটি পদক্ষেপ নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অন্যান্য উদ্যোগগুলো হলো, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে একটি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক সার্ভিস দেবে। চবি মেডিক্যাল সেন্টারে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের জন্য অক্সিজেন ও অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের করোনা শনাক্তে নমুনা সংগ্রহের জন্য চট্টগ্রাম শহরে একটি বুথ স্থাপনের সিদ্ধান্ত বিবেচনাধীন রয়েছে। চবি পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে দ্রুত চবি অধিভুক্ত আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এবং চান্দগাঁও শমসেরপাড়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রক্টর জানান। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে চবি উপাচার্যের আলোচনায় এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের আশ্বাস পাওয়া গেছে। চবি মেডিক্যাল সেন্টারে আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপাচার্য চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।