ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আলোচনায় আসা সাবেক এই ছাত্রলীগ কর্মীর দাবি, মানুষের অধিকার আদায়কে প্রাধান্য দিয়ে দল গড়বেন তিনি। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠন কেন?
বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো নীতি-আদর্শের কথা বলে, কিন্তু তাদের গঠনতন্ত্রে যা বলা আছে তার বেশির ভাগ অনুসরণ করে না। আদর্শের বিষয়ে অসাম্প্রদায়িক, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র বা গণতন্ত্র বললেও বাস্তবে তা নেই। এ ক্ষেত্রে আমরা সময়ের সঙ্গে মানুষের যে চাহিদা সেটা ধারণ করব। মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাহাত্তরের সংবিধান। প্রথাগত রাজনীতি বা রাজনৈতিক ধারার বিপরীতে নতুন কিছু করতে চাই। সিনিয়র সিটিজেনদের নিয়ে উপদেষ্টা প্যানেল থাকবে। তবে দলের নেতৃত্বে থাকবেন ৫০ বছরের কম বয়সীরা।
দলের নাম কী হবে?
নাম এখনো ঠিক করিনি। তবে মানুষের অধিকারকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। যেমন ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ, প্রবাসী অধিকার পরিষদ। এসব নামের কমিটি করা হচ্ছে। দলের নামেও ‘অধিকার’ শব্দটি থাকবে।
কারা থাকবেন, আহ্বানে সাড়া কেমন?
প্রতিটি দলে পেশাজীবীরা থাকেন, আমাদেরও থাকবে। ছাত্রদের নিয়ে আলাদা উইং থাকবে। সবাইকে একত্র করার জন্য আলাদা অধিকার পরিষদ থাকবে। এগুলো শেষ হলে দল ঘোষণার দিকে যাব। অসংখ্য মানুষের সাড়া পাচ্ছি। প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি।
আদর্শ কী হবে?
আমরা একটা মিক্সড আইডিওলজির দিকে যেতে চাই। কট্টরপন্থা কিংবা উদারপন্থা আবার একেবারেই কনজারভেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি, সেটা না। আমরা উদার বা লিবারেলিজম থাকব। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাহাত্তরের যে সংবিধান সেই আদর্শ থাকবে। বাহাত্তরের সংবিধান অনুসরণ করব কিন্তু সেখানেই যে পড়ে থাকব, তাও নয়। সময়ের সঙ্গে মানুষ যেটা ধারণ করবে সেটা নিয়ে কাজ করব।
দলের ঘোষণা কখন আসতে পারে?
দল ঘোষণার ক্ষেত্রে চমক দেখাতে চাই। আগামী বছর আসার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রব্যবস্থা যে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সেই জিনিসটা আরো ভাবিয়েছে। তবে যেকোনো সময় ঘোষণা আসবে।