এপিএস নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশের নিম্ন আদালতের ৩০ জন বিচারক অস্ট্রেলিয়া থেকে ট্রেনিং করে ফেরার পর তাদের বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এই বিচারকরা অস্ট্রেলিয়ায় দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে আদালত পরিপূর্ণ বন্ধ রাখ যাবে কি না, সেই বিষয়ে উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আপনার বলেছেন করোনাভাইরাস নিয়ে। আমরা এটা নিয়ে সচেতন। আমরা সব জজ সাহেব বসে সিদ্ধান্ত নেব, এ নিয়ে কী করা যায়। আপাতত কোর্ট বন্ধ আছে। কোর্ট খোলার আগেই আমরা সবাই একবার বসব। মানুষের ও বিচারপ্রার্থী জনগণ যাঁরা আছেন, তাঁদের যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবকিছু খেয়াল রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। কোর্ট খোলার আগেই সিদ্ধান্ত নেব। তখন এটা আপনাদের জানানো হবে।’
নিম্ন আদালতের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘নিম্ন আদালত তো সুপ্রিম কোর্টের অধীনে। সুতরাং আমরা সব ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নেব। কারণ হাজার হাজার লাখ লাখ বিচারপ্রার্থী মানুষের কথাও আমাদের মনে রাখতে হবে। কোর্ট পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হলে মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যেতে পারে। অনেকে জরুরি বিষয়াদি নিয়ে আদালতে আসেন। সুতরাং এগুলো নিয়ে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেব, সবাই বসে একসঙ্গে।’
এপিএস নিউজ/টিআই এন