ছোটবেলায় আমরা যেখানে সেখানে ময়লা ফেলি আমদের বেশীরভাগের মা-বাবাই হয়ত আমাদের বাধা দেন না।অথবা তাদেরও এমন আচরণের কারনে আমরা উৎসাহ পাই।এছাড়াও কোথাও নিষেধাজ্ঞামূলক সাইনবোর্ড থাকলেও নিষেধের কাজটিই আমরা সন্তানের সামনে করি কিংবা সন্তানকে দিয়ে করাই। একদিনের একটা ঘটনা বলি, চিড়িয়াখানার গিয়েছিলাম সেখনে পাথর দিয়ে বিভিন্ন প্রাণীর অবয়ব তৈরি করা ছিল আর লেখা ছিল “প্রাণীর গায়ে উঠে বসা নিষেধ”। কিন্তু অনেক অভিভাবকই সেই নিষেধ অমান্য করে সন্তানদেরকে সেই পাথরের প্রাণীগুলোর উপরে বসিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত।
আমাদের চারপাশে হয়ত এমন ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। হয়ত এখান থেকেই আমাদের বাচ্চারা আইন,নিয়মকানুন এর প্রতি অশ্রদ্ধার পাঠটা পাচ্ছে।আর বড় হয়ে ভবিষ্যতে আইন কানুন তোয়াক্কা না করার উৎসাহটাও পাচ্ছে তা অস্বীকার করাটাও কষ্টসাধ্য। তাই আমাদের উচিত নিয়ম কানুনের উপর শ্রদ্ধাশীল হওয়া,এবং আমাদের সন্তানদেরকেও সেই শিক্ষাটা দেয়া।তাহলেই আমরা পাব একটা সুন্দর প্রজন্ম আর একটা সুন্দর দেশ।
লেখকঃ শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।