আজ সকলের ই জানা যে সারা বিশ্ব আজ এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে এক অশান্তময়। দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে নানান পেশাজীবী মানুষ। হারিয়ে ফেলছি দেশের গুনীজনদের। বেড়ে চলেছে অর্থনৈতিক মন্দা। এই করোনা পরিস্থিতি আমাদের জীবনকে করে তুলেছে বিপর্যস্ত।
এখন সবার ই এক কথা এই কঠিন মহামারী থেকে আমরা কিভাবে রক্ষা পাবো? কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি যে, এই মহামারি থেকে রক্ষা পাবার জন্য আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য কি? আর আমরা আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে কতটুকুইবা সচেতন। উত্তর আসবে না। দেশের এই ক্রান্তিকালেে যখন সারাদেশ লকডাউন তখন আমরা বাইরে ঘোরাফেরা করছি, বিনা প্রয়োজনে বাইরে যাচ্ছি, আড্ডা দিচ্ছি। আমরা কি তাহলে আমাদের নিজেদেরকেই বিপদে ফেলছিনা।
হ্যা আমরা নিজেদেরকেই বিপদে ফেলছি, নিজের পরিবারদের বিপদে ফেলছি। আমরা কি করছি, যখন দেখছি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বরত আছে তখন আমরা বাইরে যাচ্ছি না, কিন্তু যখন তাদের অনুপস্থিত দেখছি তখন ঠিকই বাইরে যাচ্ছি। এমনটা হবে কেন, তবে কি তাদের ভয় ই বেশি পাচ্ছি করোনা থেকে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেদের জীবন বাজী রেখে দিনের পর দিন আমাদের রক্ষা করার জন্য দায়িত্ব পালন করছে, যেখানে আমাদের তাদের সাহায্য করা উচিত , কিন্তু তাদের কথা অমান্য করে নিজেদেরকেই সেই কঠিন বিপদে ফেলে দিচ্ছি। একটিবার কি আমরা চিন্তা করে দেখেছি যে শুধু কি আমি নিজেই বিপদে ফেলছি, আজ যদি আমার কিছু হয়, তাহলে সেটি আমার পরিবারের সদস্যদের উপর বর্তাবে, আর পরিবার থেকে প্রতিবেশি, তাদের থেকে সমাজে এভাবে গোটা দেশই আক্রান্ত হবে। যেহেতু এটি একটা সংক্রামক ব্যাধি।
তাই আসুন আমরা সচেতন হই, দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠি, বাইরে খুব গুরুত্বপূর্ন কাচমজ ছাড়া না বেড়োই এবং এই মহামারী কে একটি স্নায়ুযুদ্ধ ভাবী। যে যুদ্ধটা মাঠে গিয়ে নয় বরং নিজের ঘরে থেকেই করি, বাইরে না বেরিয়ে এই যুদ্ধ তে জয়লাভ করতে হবে আমাদের। তাহলেই এই মহামারী কে দূর করতে সক্ষম হবো আমরা।
মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন
আইন বিভাগ,
এলএলএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,কুষ্টিয়া