কিছুদিন পূর্বে বাড়িতে গিয়েছিলাম। তবে একটা বিষয় লক্ষণীয় যে, কোনো কিশোর বয়সী ছেলেকে বা মেয়েকে প্রায়সময় বাড়ির ভিতরে বা অঙিনায় খেলতে দেখলাম না। ছোটোবেলায় দেখতাম শহর থেকে গ্রামে গেলে অনেক ছেলে-মেয়ে এসে হাজির হতো। এবার বা গত দু’পাঁচ বছর ততটা আর চোখে পড়েনি। ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলাম তোমার যে ছেলেটা ক্লাস নাইনে পড়ে সে কোথায় তাকে তো দেখছি না। ভাই অনেকটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো কিছুদিন আগে ছেলের পিড়াপিড়িতে নিরুপায় হয়ে তাকে মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছি। সারাক্ষণ সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। গেম না-কী যেন চালায়। পড়াশোনায় কোনো মন নেই। কিছু বললে মান অভিমান করে এবং নিজেকে শেষ করে ফেলার হুমকি দেয়। তাকে নিয়ে কী যে যন্ত্রণায় আছি। ভাইকে বললাম তুমি তোমার ছেলেকে মোবাইলের বিকল্প কিছু দিতে পারো। আমাদের ছেলেবেলা তো কেটেছে সারাদিন পুকুরে বা নদীতে সাঁতার কেটে। বন্ধুদের সাধে হাডুডু, দাড়িয়াবাঁধা এবং গোল্লাছুট খেলে। কিছুদিন আগেও গ্রামে গ্রামে পাল্লা দিয়ে ফুটবল খেলা বা ক্রিকেট খেলা প্রতিযোগিতা হতো। এখন আর তেমনটি দেখা যায় না। মোবাইল ফোনের গেম-আসক্তিতে আগামী প্রজন্ম ধ্বংসের দারপ্রান্তে। এখনই সেটি রুখে দিতে হবে। ইন্টারনেট-এর মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম খুব সহজেই অশ্লীল সিনেমা বা চলচ্চিত্র হাতের কাছে পায়। ফলে উঠতি বয়সী যুবক-যুবতী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মূল্যবোধহীন আগামী প্রজন্ম গড়ে উঠবে হয়তো-বা যদি এভাবেই সবকিছু চলতে থাকে।
অষ্টাদশ শতকে ফরাসি সভ্যতার মধ্যে যে দুটি বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয় ছিল, তা হলো মূল্যবোধ ও ন্যায্যতায় আপসহীনতা। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তিনি তাঁর সামগ্রিক সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে ন্যায্যতা, সাম্য ও ন্যায়বিচার-এর জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন। সমসাময়িক ভারতীয় উপমহাদেশের অবস্থা ফরাসিদের সাথে তুলনীয় না হলেও সে সময় ভারতবর্ষে যে মূল্যবোধের চর্চা ছিল না, তা বলা যাবে না। কিন্তু এখন সে অবস্থা আর অবশিষ্ট নেই। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের অবস্থাটা আরো বেহালদশায় পৌঁছেছে। যা স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র ও সভ্য সমাজের চরিত্র এবং বৈশিষ্ট্যকেই দুর্বল ও প্রশ্নবিদ্ধ করছে বা ভবিষ্যতে করবে।
মোদ্দাকথা হলো মূল্যবোধের অনুপস্থিতিই অবক্ষয়ের সূচনা করে। অবক্ষয় বলতে আমরা সাধারণত সামাজিক ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক কিছু স্খলন বা চ্যুতি-বিচ্যুতিকেই বুঝি। যেমন; মাদক, এলএসডি, ইভটিজিং, জুয়া, ক্যাসিনো, ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন, প্যাথেড্রিন, পর্নোগ্রাফি আসক্তি অনিয়ন্ত্রিত-অন্যায্য এবং অপরিণত যৌনাচারসহ কিছু সামাজিক অপরাধকে অবক্ষয় বলে সাব্যস্থ করা হয়। যদিও প্রকৃতপক্ষে এর ব্যাপ্তি আরো অনেক বেশি বিস্তৃত। মূলত ক্ষয়প্রাপ্তি, সামাজিক মূল্যবোধ তথা সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা, ধৈর্য, উদারতা, শিষ্টাচার, সৌজন্যবোধ, নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়, নান্দনিক সৃজনশীলতা, দেশপ্রেম, কল্যাণবোধ, পারস্পরিক মমতাবোধ ইত্যকার নৈতিক গুণাবলি লোপ পাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়াকে বলে অবক্ষয়। ইদানীং তথাকথিত হঠাৎ গজিয়ে ওঠা রাজনীতিবিদদের মাঝেও চরম মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। মানুষের মধ্যে যেনতেন উপায়ে রাতারাতি বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার স্বপ্ন জাগ্রত হয়েছে। এর ফলে পাপিয়া, হেলেনা এবং সাবরিনার মতো তথাকথিত ভুঁইফোড় রাজনীতিক ও ডাক্তারদের উত্থান সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কিছু নমুনা দৃশ্যমান হয়।
মূল্যবোধ বা ভ্যালু ও অবক্ষয় বা ডিকে/ডিগ্র্যাডেশন পরস্পর বিরোধী; সাংঘর্ষিক। তাই মূল্যবোধ যেখানে দুর্বল, অবক্ষয় সেখানেই প্রবল। আলো-আঁধারের মধ্যে যেমন সহাবস্থান নেই, ঠিক তেমনিভাবে অবক্ষয় ও মূল্যবোধ একসাথে চলতে পারে না। মূল্যবোধ স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাগ্রত হয় না বরং রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পারিবারিক পরিসরে এজন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে নৈতিক শিক্ষার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় রাষ্ট্রই নাগরিকের সবকিছু দেখভাল করে, তাই মূল্যবোধের লালন ও চর্চার পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্বও রাষ্ট্রের। তাই নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রের প্রথম কর্তব্য হবে নৈতিকশিক্ষা ও মূলবোধের চর্চাকে উৎসাহিত করা এবং সার্বিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া। এ ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্য শিক্ষাকে অবারিত করাকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। তবে সব শিক্ষিতই যে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন হবে বা অবক্ষয়মুক্ত থাকবে এমনটা আশা করাও ঠিক নয়। যেসব মানুষ সুশিক্ষিত হতে পারেনি অর্থাৎ শিক্ষার মাধ্যমে সুকুমার বৃত্তির পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারেনি তাদের মাধ্যমে মূল্যবোধ ও ন্যায্যতার চর্চা কখনো সম্ভব নয়।
এ ক্ষেত্রে সুশিক্ষাই কাক্সিক্ষত ও প্রত্যাশিত। কেউ যখন সুশিক্ষিত হয়ে ওঠে তখন তার মধ্যে আপনা-আপনিই নৈতিকতা ও মূল্যবোধের সৃষ্টি হয়। তিনি অবক্ষয়মুক্ত থাকার চেষ্টা করেন। আর তা ফুলে-ফলে সুশোভিত করার জন্য প্রয়োজন হয় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের অনুকূল পরিবেশ বা পৃষ্ঠপোষকতা। সুশিক্ষিত তিনিই যিনি তার শিক্ষাকে সৎ আর ন্যায়ের পথে নিয়োজিত করেন। যৌক্তিক বিষয়াদিকে যৌক্তিক বোঝার পর নিজ স্বার্থের দিকে নজর না দিয়ে, অযৌক্তিকতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করার ব্রত গ্রহণ করেন। জজ মিয়া নাটক বিষয়ে আমরা সবাই কমবেশি জানি। সম্প্রতি আবু সালেকের অপরাধে জাহালম নামে এক নিরপরাধ শ্রমিকের তিন বছরের কারাবাস নিষ্ঠুরতার দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করে। এ ধরনের জাহালমের সংখ্যা আমাদের দেশে নেহাত কম নয়। ভিন্নমতের জাহালমদের আর্তনাদ তো এখন আর কারো কর্ণকুহরেই প্রবেশ করে না। এসব রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অবক্ষয়ের ক্ষত চিহ্ন।
মূলত আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রেই এখন অবক্ষয়ের জয়-জয়কার চলছে। পাপিয়া, হেলেনা, সম্রাট এবং রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক শাহেদ ব্যাক্তি পর্যায়ে এবং ইভ্যালি অনলাইন কেনাকাটা, শেয়ার মার্কেট, জনতা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, ডেসটিনি, হলমার্ক সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কেলেঙ্কারির ঘটনা নৈতিক মূল্যবোধের বিচ্যুতি ও অবক্ষয়ের ব্যাপকতার প্রতিই অঙ্গুলি নির্দেশ করে। এখন সব ক্ষেত্রেই অবক্ষয় সর্বগ্রাসী রূপলাভ করেছে। দেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন, সামগ্রিক রাজনীতি আজকে কলুষিত। ভোটচুরি, নাগরিক-এর ভোটাধিকার চুরি হয়ে যাওয়া, পারস্পারিক অবিশ্বাস এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন-পীড়ন আজ নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সব পর্যায়েই এর পরিসর বিস্তৃত। অবক্ষয় যে আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিকতা পেয়েছে তা বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন নানা কর্মকাণ্ড এবং ঘটনাপ্রবাহ থেকেই প্রমাণিত।
সাম্প্রতিককালে পরকীয়া, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা, ক্যাসিনো, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গরিবের ত্রাণের চাল চুরি ও আত্মসাৎ, গুপ্তহত্যা, গুম ও অপহরণ বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। মূল্যবোধের অনুপস্থিতি ও অবক্ষয়ের ব্যাপক বিস্তৃতির কারণেই এ ধরনের অপরাধ এখন ক্রমবর্ধমান ও লাগামহীন। এজন্য দেশে গণমুখী ও সুস্থধারার রাজনীতির বিচ্যুতিকেই অনেকেই দায়ী করেন। রাজনীতির পরিসর খুবই বৃহৎ। রাজনীতি দেশ ও জনগণের আমূল কল্যাণের জন্য আবর্তিত হয়। এতে মূল্যবোধ আর ন্যায্যতার ভিত্তি মজবুত না থাকলে কল্যাণের পরিবর্তে অকল্যাণই হয় বেশি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ন্যায়বিচারের কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন, ‘যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও, সে একজনও যদি হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব।’ রাজনীতিকদের যদি মূল্যবোধের স্তর নিম্নমানের হয় তবে তা আর রাজনীতি থাকে না বরং অপরাজনীতি হিসেবে বিবেচিত হয়। এর কুপ্রভাবে হাজারো মূল্যবোধ নষ্ট হয়। ব্যক্তির মূল্যবোধ নষ্ট হলে ক্ষতি শুধু একজনের কিন্তু শাসক শ্রেণির মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই প্রবাদ আছে, ‘রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট হয়, প্রজা কষ্ট পায়’। আমাদের প্রেক্ষাপটও বোধহয় তা থেকে আলাদা নয়। বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনে যে ন্যায্যতা, সাম্যবাদের বা ন্যায়বিচারের কথা বলেছিলেন বা ধারণ করতেন এই সময় এসে রাজনীতিবিদদের মধ্যে আমরা সেই উচ্চমানের মূল্যবোধের জায়গাটি ধরে রাখতে পারিনি বা কিছুটা হলেও অনুপস্থিত।
শুধু রাজনৈতিক মূল্যবোধের বিষয় নয়, অবক্ষয়ের মূলে রয়েছে ধর্মবিমুখতা, ধর্মের অপব্যবহার, ধর্মীয় সঙ্কীর্ণতা, অসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব এবং সর্বগ্রাসী অশ্লীলতার মতো আরো কিছু বিষয়। ধর্মের যথাযথ চর্চা ও অনুশীলন কখনোই ধর্মান্ধতা শেখায় না বরং ধর্মীয় আদর্শের মাধ্যমেই ধর্মান্ধতার অভিশাপ মুক্ত হওয়া সম্ভব। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা যদি তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরান ও হাদিসের আলোকে জীবন পরিচালনা করে তবে অবশ্যই ওই মানুষটি একজন বিবেকবান ও মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই। ঠিক তেমনি হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টানরা যদি তাদের ধর্মের অনুসাশন মানে তাহলে মানুষের মাঝে অবক্ষয়ের কথা আসতো না। কেননা কোনো ধর্মই উগ্রতা শিক্ষা দেয় না। ধর্মই মানুষের জীবনপ্রণালি অন্যান্য ইতর প্রাণী থেকে আলাদা করেছে; মানুষকে সভ্য, সংবেদনশীল ও পরিশীলিত করেছে।
প্রতিটি সভ্যতাই গড়ে উঠেছিল কোনো না কোনো ধর্মকে আশ্রয় করে। আমরা বাংলাদেশিরা এই উপমহাদেশে মুসলিম বা ইসলামি সভ্যতা বা ধর্মের কাছে মূল্যবোধ শিখেছি। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন একটি সভ্যতা খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেটি ধর্মকে বিসর্জন দিয়ে গড়ে উঠেছে। তাই একটি নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি সৃষ্টি ও অবক্ষয়হীন সমাজ বিনির্মাণ করতে হলে নাগরিকদের মধ্যে জবাবদিহিতার অনুভূতি সৃষ্টি, ধর্মীয় মূল্যবোধের সম্প্রসারণ, লালন ও অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। মনীষী সাইয়্যেদ কুতুবের ভাষায়, ‘যে সমাজে মানবীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রাধান্য থাকে সে সমাজই সভ্য সমাজ’। আমরা দুর্নীতি এখনও কমাতে পারিনি। সবখানেই দুর্নীতির করাল গ্রাসে আচ্ছন্ন। মূল্যবোধের অবক্ষয়ের অন্যতম নিদর্শন এই দুর্নীতি। দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে নিজে থাকবেন আশ্বাস দিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে, আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে হবে, ওই চোর, ব্ল্যাক মার্কেটিয়ান, ওই ঘুষখোর। ভয় নাই, কোনো ভয় নাই। আমি আছি। দুর্নীতিবাজদের খতম করো, বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের দুঃখ মোচন করো।’
সামাজিক অনাচার, ব্যভিচার, পরকীয়া, নারী ও শিশু নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো, ত্রাণচুরি, ধর্ষণ, হত্যা, ক্যাসিনো, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুপ্তহত্যা, গুম ও অপহরণ বেড়েছে এ কথা তো সত্য। এটা মূল্যবোধের অবক্ষয়ের ফল সেটিও ধ্রুবসত্য। আর আমি মনে করি ডেঙ্গু, মহামারি করোনা ভাইরাস, অন্যায় যুদ্ধ গজব হয়ে আসমান থেকে নেমে এসেছে দুনিয়ায় এই সব মিথ্যাবাদী জুলুমবাজ লোক ও অসৎ আমানতের খেয়ানতকারী এবং নৈতিকভাবে অধপতনে ও উচ্ছন্নে যাওয়া মানুষরূপী দানবগুলোকে শায়েস্তা করতে। সুতরাং ভালো হয়ে মুল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার বিকল্প নাই। তা না হলে ডেঙ্গু, নিপাহ ও করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিকভাবে প্রতিশোধ নিতে আপনার আমার উপরে যেকোনো সময় ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। আসলে সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল মানুষের ভালো হওয়ার কোনো বিকল্প কিছু নেই।
মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম: কলামিস্ট কবি ও আইন গবেষক।