জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বেলা ২টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত বাগু মন্ডলের ছেলে আব্দুর জব্বার ওরফে পঞ্চত আলী। জব্বার দীর্ঘদিন দিন ধরে পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত মনি মন্ডলের মেয়ে ছাপাতুন নেছার সঙ্গে একই এলাকার মৃত বাগু মন্ডলের ছেলে আব্দুর জব্বার ওরফে পঞ্চত আলীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জব্বার আলী ঘর জামাই হিসেবে ছাপাতুনের বাবার বাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু জব্বার সন্ত্রাসী কার্যকালাপ এবং বহু বিবাহের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এতে প্রতিবাদ করায় ছাপাতুনকে মাঝে মধ্যেই শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন জব্বার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালের ২২ জুলাই ছাপাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ প্রতিবেশী আবুল কাশেমের বাঁশ বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন জব্বার। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে জব্বারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছাপাতুনকে হত্যা কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন তিনি।
এই ঘটনার পরের দিন নিহত ছাপাতুনের ভাই আমিরুল ইসলাম আব্দুর জব্বার ওরফে পঞ্চত আলীকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি আব্দুর জব্বার ওরফে পঞ্চত আলীর বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলা চলার সময় আসামি আব্দুর জব্বার জামিনে বের হয়ে পালিয়ে যান। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন আদালত।