কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় রনজিত কুমার সিংহ রায় নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার দায়ে দাউদ হোসেন নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় অন্য ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিকেলের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দাউদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকার মৃত শের আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২০ অক্টোবর রনজিত কুমার সিংহ রায়ের ঘরে ভোর ৬টা ২০ মিনিটের দিকে গুলির শব্দ শোনা যায়। পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা দেখেন, দুজন লোক ঘর থেকে বেরিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তাদের সাথে আরও চারজন ছিল। পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘরে গিয়ে দেখেন রনজিতের বুকে গুলি করে তারা পালিয়েছে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ভেড়ামারা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই অসিত কুমার সিংহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ১৫ মার্চ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার সাতজন আসামির মধ্যে একজনকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়। বাকি ছয় আসামি নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি দাউদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।