সাম্য, সম্প্রীতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম, তাঁর হৃদয়মাধুর্য দিয়ে সব শ্রেণিবৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, যে প্রেম মানুষের কল্যাণে উৎসারিত হয়ে ওঠে। শুধু লেখনীর দ্বারা নয়, নিজের জীবনের সব রকম ঝুঁকি নিয়ে ঐক্যের আশায় আশাবাদী নজরুল। বাঙালির জাগরনের কবি ছিলেন কাজী নজরুল।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে কবির মাজারে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম মানুষের মানবিকতাকে, চেতনাবোধকে জাগ্রত করেছেন এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছেন। গণমানুষের কাছে পৌঁছেন, মানুষ হিসেবে মানুষের মর্যাদাকে দেখেছেন, ধর্মের দিককে আগে তুলে ধরেননি। বাঁচার অধিকারের দিকটিকে ধর্মের সুন্দর জায়গার দিক থেকে দেখেছেন। এভাবে নজরুল আমাদের সামনে সাম্যবাদের চেতনা নিয়ে এসেছেন।
তিনি আরো বলেন, এখনও সারা বিশ্বের বেদনায় হাহাকার। এমন অবস্থায় কাজী নজরুলকে এখনও ভীষণ প্রয়োজন। কাজী নজরুল জীবনে কত সংগ্রাম করেছেন। জেলে গেছেন। মানবতার আর সাম্যের কথা তাঁর মতো কেউ এমন করে বলেননি। তিনি এমনই একজন কবি, যার জন্য তৎকালীন ভারতের সব মানুষ ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মুক্তির সংগ্রামের সাহস সঞ্চয় করতে পেরেছিলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজু, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, লেবার পার্টি মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, অধ্যক্ষ এম শরীফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া প্রমুখ।