“বাংলাদেশের সিনেমাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচয় করে দিয়েছেন তারেক মাসুদ। , ‘মাটির ময়না’ ও ‘রানওয়ে’র মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বাংলা চলচ্চিত্রকে যে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি, তা অভাবনীয়। তার মতো চলচ্চিত্রকারের অভাব এখনও মিডিয়া জগতে বিদ্যমান। এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।” বাংলাদেশের নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ সম্পর্কে এভাবেই তিনি নিজের অনুভুতি জানালেন লেখক ও অভিনেতা জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়।
সাতক্ষীরার তরুণ চলচ্চিত্রকর্মীদের সংগঠন মৃণাল সেন ফিল্ম সোসাইটি আয়োজিত ‘রিমেমবারিং তারেক মাসুদ: লাইফ অ্যান্ড সিনেমা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন তিনি। তারেক মাসুদের ১০ প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে এই ওয়েবিনারটি আয়োজন করা হয়।
জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তারেক মাসুদ চাইলে বিদেশি ভাষায় সিনেমা নির্মাণ করতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। বাংলা ভাষাকেই আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে নিয়ে গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারেক মাসুদ অতটা অবস্থাসম্পন্ন ছিলেন না শুরুতে। তেমন অর্থকড়িও ছিল না, দুই থেকে তিনবারের বেশি একটা শট নেয়ার সুযোগ ছিল না। সেই অবস্থা থেকে বাংলা চলচ্চিত্রে জননন্দিত হয়ে ওঠার পেছনে শ্রম ও মেধার অবদানই বেশি। তরুণ নির্মাতাদের অনেক বড় অনুপ্রেরণা তারেক মাসুদ।’
ওয়েবিনারে আরও যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাবেক সভাপতি ফেরদৌস খান নির্ঝর। তিনি বলেন, ‘তারেক মাসুদ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের এক দৃষ্টান্ত। তিনি নির্দিষ্ট কোনো জাতিসত্তার নয়। তিনি সিনেমায় রাজনীতিকে জীবন ঘনিষ্ট করে উপস্থাপন করতে পেরেছেন।’
ওয়েবিনারে সভাপতি ছিলেন মৃণাল সেন ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি নওশীন আনজুম নিধি। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কাজী জারিন তাসনিম মাহি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সহ সভাপতি মৌমিতা সরকার। ওয়েবিনারের আরও যোগ দেন জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদের আবু নাঈম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাদিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় চলচ্চিত্র সংসদের রনি শীলসহ আরো অনেকে।