সফলতার শিখরে দাঁড়িয়ে তুমি,হে সন্তান _
গিয়েছো ভুলে এই গরীব বাবা মাকে।
পড়েনা কি মনে একটা বারো?
এতটা পথ পাড়ি দিয়েছো এই বাবা-মার শ্রমের ফলে।
স্ত্রী,পুত্র,সংসার পেয়ে আজ,সুখেই আছো বেশ!
তুমি ছিলে মোদের একমাত্র ভালোবাসার ধন,ভুলে গেছ শেষমেশ।
সারাদিনে থাকো কতো মৌজ মাস্তিতে মেতে;
অথচ এই বৃদ্ধ বাবা-মার কথা পড়েনা মনে,একটু সময়ের তরে।
থাকো তুমি ওই শহরের বিরাট অট্টালিকার মাঝে ;
এই দুখিনী বাবা-মা মোরা আছি পড়ে _
ঝোপের ঝাড়ে ভাঙা পুরোনো সেই,নড়বড়ে কুঁড়ে ঘরটাতে।
বিলাশবহুল জীবন তোমার,অর্থের পাহাড় হাতে;
ওষুধের অভাবে দুখিনী মা তোমার ভুগছে মরণব্যাধিতে।
সময় তাহার ফুরিয়ে আসায়,দেখতে চাইছে তোমায়;
আসনি তুমি দিয়েছি খবর, অবহেলার দারুণ মায়ায়।
জীবনের সেই অন্ত কালে পূরণ হলোনা চাওয়া,
ছটফট করে খুঁজল তোমায় নিজের মরণ বেলা।
.
.
.
বলে দিয়েছে বিদায় বেলা_
ছেলেটারে মোর দেখো,
আসে যদি মোর বিদায় খবর পেয়ে,
লাশের পালকি_
তার কাঁধে তুলে দিও।
পালকি কাঁধে,কাঁদবে যখন,নিয়ে কবরের পাড়ে,
চির শান্তিতে ঘুমিয়ে যাবো অন্ধকার কবরের মাঝে।
নুর মোহাম্মদ, কবি