একমাত্র টেস্ট ম্যাচ জেতার পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে বাংলাওয়াশ করেছে সফররত বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জয়ের ধারাটা অব্যাহত ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে গেলে সিরিজ সমতা হয়। অতপর সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটের দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতল রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা।
১৯৪ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সফররত বাংলাদেশের। প্রথম দুই ওভার দেখে-শুনে ব্যাট করলেও ব্লেসিং মুজারাবানির করা তৃতীয় ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন টাইগার ওপেনার নাঈম শেখ। আউট হওয়ার পূর্বে করেন মাত্র ৩ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নেমে ভালোই ব্যাট করছিলেন সাকিব আল হাসান। লুক জংউইয়ের করা ইনিংসের অষ্টম ওভারে পরপর দুই বলে ছক্কাও হাঁকান তিনি। তৃতীয় বল ডট হওয়ার পর চতুর্থ বলেই ক্যাচ তুলে দেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে করেন ২৫ রান। এদিকে মাত্র ৫ বল খেলে দ্রুত ১৪ রান তুলেন আফিফ হোসেন।
ম্যাচ ধরে খেলছিলেন দলনেতা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু ম্যাচ জিতিয়ে ফিরতে পারেননি তিনি। ১৯তম ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে কটবিহাইন্ড হয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ৩৪ রানে।
অন্যদিকে রীতিমতো বাজিমাত করেন উদীয়মান টাইগার ক্রিকেটার শামীম পাটোয়ারি। মাত্র ১৫ বলে অপরাজিত ৩১ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে জয় উপহার দেন। তার এই ইনিংসটি ছয়টি চারে সাজানো। এছাড়া সোহান অপরাজিত থাকেন ১ রানে।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন দুই জিম্বাবুইয়ান ওপেনার তাদিওয়ানাসে মারুমানি এবং ওয়েসলে ম্যাধভেরে। ওপেনিং জুটিতে দুজনে তুলেন ৬৩ রান। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ২৭ রান।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশি বোলারদের রীতিমতো তুলোধূনো করেন ওয়েসলি ম্যাধভেরে এবং রেগিস চাকাভা। এ সময় মাত্র ৩১ বলে দুজনে তুলেন ৫৯ রান। অবশেষে ইনিংসের ১২তম ওভারে তাকে ফেরানোর পর সিকান্দার রাজাকেও আউট করেন পার্টটাইম বোলার সৌম্য সরকার। মাত্র ২২ বলে ৪৬ রান করেন চাকাভা। আর রাজাকে কোনো রান তুলতে দেননি সৌম্য।
এদিকে ওপেনিংয়ে খেলতে নামা ম্যাধভেরে টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক পূর্ণ করেন। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে আসা সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি। আউট হওয়ার আগে করেছেন ৫৪ রান। এছাড়া ব্যক্তিগত ২১ রানে আউট হন ডিওন মেয়ার্স। আর ৩১ রানে বার্ল এবং ১ রানে জংউই অপরাজিত রয়েছেন।