কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেলা জজ আদালতের এক কর্মচারীকে অর্থদণ্ড দেওয়ার প্রক্রিয়াকে আইনগত ত্রুটি উল্লেখ করে মামলা বাতিল করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুজাউদ্দোলা স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। রবিবার (১৭ মে) তিনি গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ৪ মে জেলা শহরের আদর্শ পৌর বাজার এলাকায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরী একসঙ্গে দুজন রিকশায় ওঠায় জেলা জজ আদালতের কর্মচারী মো. মোশারফ আলীকে অর্থদণ্ড দেন। সংক্রামক রোগ আইন, ২০১৮-এর ২৫(১) ধারায় এ দণ্ড দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক এমন সাজাকে নিয়মবহির্ভূত ও বেআইনি দাবি করেন আইনজীবী ও জজ আদালতের কর্মচারীরা। এ রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
গত ১০ মে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষরিত আদেশ সূত্রে জানা যায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মামলা বিচার নিষ্পত্তির জন্য নথি পেয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করা হয়। পর্যবেক্ষণে মামলার নথিতে ল’ পয়েন্টে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি বিদ্যমান রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিধান অনুয়ায়ী উল্লিখিত মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্বাক্ষর নেই উল্লেখ করে এটিকে আইনগত ত্রুটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক দেওয়া সাজার নথিতে আইনগত ত্রুটি থাকায় মামলাটি বাতিল করে অভিযুক্তকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি আবেদন করলে তার অর্থদণ্ডের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন।
এপিএস/১৭মে/পিপিপিআই