হঠাৎ পাখিদের ডাকে ঘুমটা ভেঙে গেল। তখন সকাল ৮ টা বাজে।বিছানা পাশের জানালা আংশিক খোলা। সকাল থেকে বৃষ্টি পড়ছে। জানালায় বৃষ্টির ঝাপটা এসে লাগছে। শীত শীত ভাব রয়েছে বেশ। বৃষ্টির পানি ছিটকে এসে পড়েছে রানার মুখে। কিন্তু রানা একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কিভাবে বৃষ্টি পড়ছে সেদিন। মনটা তার ভালো নেই। কারণ তার মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে। এই বৃষ্টি ভেজা দিনে তার মা তাকে ছেড়ে চলে যায়। রানার বাবা একজন বড় ব্যবসায়ী।
ব্যবসার সূত্রে তিনি বাইরে থাকতেন।মাসে বেশি হলেও এক সপ্তাহ থাকেন তাদের সাথে। তাই বাবার সাথে দূরত্বটা কিছুটা বাড়তে থাকে।ধনী বাবার একমাত্র ছেলে যখন যা চায় তাই পায়। এটা বুঝি তার সর্বনাশের কারণ।রানার নাম শুনলে এলাকার সবাই ভয় পায়।মারামারিসহ এমন কাজ নেই যা রানা করেনি।এসব ভাবতে ভাবতে বাস্তবে ফিরে আসে রানা। চোখ দিয়ে অজস্র পানি পড়ে। রানার এরকম অবস্থার পিছনে দায়ী তার বাবা।তার একাকিত্ব। তার বাবা হয়তো ভুলে গিয়েছেন,মানুষের সুস্থ জীবনযাপনের জন্য টাকা পয়সায় সব নয়।হয়তোবা তিনি রানার পরিস্থিতির কথা জানেন না।কিন্তু একদিন তিনি জানতে পারবেন যে,গতকাল দুই পক্ষের গোলাগুলিতে রানাসহ আরও ৭ জন নিহত হয়েছে।
নামঃ শীর্ষেন্দু মণ্ডল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ আড়পাড়া সরকারি আইডিয়াল হাইস্কুল। শ্রেণীঃ দশমমোবাইল নম্বরঃ 01740016414