এপিএস নিউজ ডেস্ক
ঈদের আগে শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার প্রবণতা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, এ সংযমের মাসেও মানুষ সামাজিক দূরত্ব না মেনে দলে দলে গ্রামের দিকে যেতে শুরু করেছে। শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার এ প্রবণতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
‘আপনারা দেখছেন পরিস্থিতি অবনতিশীল। শপিংমল, ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি ভিড় তৈরি করা থেকে বিরত থাকতে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। স্বাস্থ্য বিধি ও সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা প্রকারান্তে নিজের এবং চারপাশের মানুষের জীবনে গভীর অমানিশা ডেকে আনা। এভাবে চলতে থাকলে দুর্ভোগের অন্ধকারাচ্ছন্ন বর্ষাকাল অতিক্রমের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’
শনিবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন কাদের।
বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্টের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা দেশের স্বাস্থ্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছে। আমি আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটিকে বলতে চাই, আপনারা খোদ ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকান। সেসব দেশও নানা সীমাবদ্ধতা নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে। আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকার পরও সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা রয়েছে। এখন ৪১টি টেস্ট কেন্দ্রে করা হচ্ছে। সুরক্ষা সামগ্রী সংগ্রহ বাড়ছে দিন দিন। নতুন করে চিকিৎসক নার্স নিয়োগ করা হয়েছে। এর বাইরে স্বাস্থ্যখাতের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছেন।
ঘরহীন মানুষদের খুঁজে খুঁজে সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারি উদ্যোগে অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। এ পর্যন্ত এক কোটির বেশি পরিবার তথা ৫ কোটির বেশি মানুষের মাঝে সরকারি সহায়তা পৌঁছেছে। ৬৪ জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ ও বিতরণ করা হয়েছে। প্রায় ৮৫ কোটি টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শিশু খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। ১ কোটি মানুষকে রেশনের আওতায় আনাসহ ঈদের আগে ৫০ লাখ মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
‘এর মধ্যে অনেকেই আছেন; যাদের ঘর নেই, যারা খোলা আকাশের নিচে, ফ্লাইওভারের নিচে, বিভিন্ন রেল স্টেশনে আছেন। তাদের খুঁজে খুঁজে তালিকা তৈরি করে তাদের ঈদের আগে সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছে দিন। এ সহায়তা কর্মসূচির তালিকা প্রণয়ন তথা প্রণোদনা কার্যক্রমে কোনো ধরনের অনিয়ম সরকার বরদাশত করা হবে না। ত্রাণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা সরকারের অঙ্গিকার। যেই অনিয়ম করবে, দলীয় পরিচয়ে হলেও ছাড় দেয়া হবে না।’
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংকটের শুরু থেকে অসহায় কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। অসহায় মানুষের আস্থার ঠিকানা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নিজেদেরে জীবন বাজি রেখে যে সকল নেতাকর্মী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান সেতুমন্ত্রী।সূত্রঃ ঢাকটিাইমস।
এপিএস/১৬মে/পিটিআই