মো:মিশন আলী,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, অত্র এলাকায় এমন গুরু এর আগে কখনো কেউ দেখেছে বলেতো মনে পড়ে না। মালিক গুরটির নাম রেখেছে বর্তমান ব্রাজিলের সের ফুটবলার “নেইমার”। বিশাল এই ষাঁড়টি দেখতে আশেপাশের মানুষ প্রতিদিনই ভিড় করছেন।
সরেজমিনে মল্লিকপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নেইমারের মালিক এনামুল হোসেন প্লাষ্টিকের পাইপ দিয়ে গরুটিকে গোসল দিচ্ছেন। অত্যন্ত যতœসহকারে তাকে রাখা হয়েছে। দিনে কমপক্ষে ৪/৫ নেইমারকে গোসল করানো হয়ে থাকে। খাবারেরমধ্যে রয়েছে ছোলা, খেসারির ডাল, ভুট্টা, কুঁড়ো, খইল, ভাত ও কাঁচা ঘাস। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ানো।
গরুটির মালিক এনামুল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আর কিছুদিন পরই আসছে কোরবানির ঈদ। বিশাল এই নেইমারের দাম ১৫ লক্ষ টাকা হাকছেন গরুর মালিক। গরুটির ওজন হবে প্রায় এক হাজার কেজি। প্রতিদিনই প্রায় ৫০০ টাকার খাবার দিতে হয় গরুটির। তিনি শখের গরুটির নাম রেখেছেন নেইমার। গত ২ বছর আগে পাশের গাজীর বাজার গরু হাট থেকে ২ লক্ষ টাকা কিনেছিলাম। তার পিতা ও দুই ভাই গরুটি লালন-পালন করেন। তিনজনই প্রতিদিন গরুর পিছনে সময় দেন। ২ দাঁত বিশিষ্ট গরুটির মূল্য ধরছেন ১৫ লক্ষ টাকা। অন্যান্য গরুর তুলনায় বিশাল এ ষাঁড়ের বেশি যতœ নেন তারা।
কালীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএসএম আতিকুজ্জামান জানান, উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামে বড় একটি ষাঁড়ের মালিক বিভিন্ন সময় পরামর্শ নিয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলায় গরু মোটাতাজাকরণ যারা করছে সবাইকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং নিরাপদ মাংশ উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি।