গতকালন রবিবার ১৯ জুন ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (DYDF) এবং একশনএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে ভার্চুয়াল যুব সংসদ বাজেট অধিবেশনের আয়োজন করে।
ভার্চুয়াল এই আয়োজনে সারা দেশ থেকে নির্বাচিত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩৫০ জন যুব ছায়া সংসদ এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়াও অতিথি আলোচক হিসেবে ছায়া সংসদে অংশ নেন দেশের নীতিনির্ধারনী পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গনমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।
এবারের যুব সংসদ বাজেট অধিবেশন মহামান্য রাষ্ট্রপতির বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট সুলতানা কামাল।
এতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সচিব আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, ড. আতিউর রহমান,সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারী স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আরোমা দত্ত, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির নেতা মাননীয় সংসদ সদস্য ফজলে হাসান বাদশা, মাননীয় সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টি র নেতা ফকরুল ইমাম,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থানীতি বিভাগের প্রফেসর এমএম আকাশ,চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর চেয়ারম্যান অসিফ ইব্রাহিম, ধ্রুবতারা ইয়ূথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এমডি শাহ আজম
দিনব্যাপী এই আয়োজনের শুরুতে ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর পর্যালোচনামূলক একটি সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন একশনএইড বাংলাদেশ এর ডেপুটি ম্যানেজার কোরবান আলী। এছাড়াও যুব ছায়া সাংসদ ও অতিথিদের আলোচনায় তুলে ধরবেন বাজেট নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও সুপারিশ।
যুব সরকারি ও বিরোধী দল একমত হয়ে ২০২১-২২ বাজেট নিয়ে যুব প্রস্তাবনা ও সুপারিশসমূহ-
১। যুব উন্নয়নের জন্য বাজেট বৃদ্ধি করা।
২। বেকার যুবদের জন্য বেকার ভাতা প্রদান।
৩। সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে (সম্ভব না হলে ভর্তুকি মূলে) কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা।
৪। সারাদেশে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত বরাদ্দ রাখা।
৫। তরুণদের Covid-19 টিকা দেওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা।
৬। শারীরিক প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, তৃতীয় লিঙ্গ এবং অন্যান্য প্রান্তিক তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য বাজেট বরাদ্দ করা। আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি।
৭। যুবদের স্বেচ্ছা সেবামূলক কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ করা।
৮। ঋণ প্রক্রিয়াকে সহজ করা, ঋণের শর্ত শিথিল করা ও যুব উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রদান।
৯। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ প্রদান।
১০। কৃষি খাঁতে যুব উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করা, খাদ্য অধিকার আইন প্রপ্রনয়ণ করা।
১১। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা নিয়োগের জন্য অর্থ বরাদ্দ।
১২। শিক্ষা খাতে সার্বিকভাবে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবীও জানানো হয়।
১৩। জাতীয় যুব কাউন্সিল গঠনের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা।, অবিলম্বে বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
১৪। সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা।
১৫। যুব ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা।
১৬। পরিবেশ ও জলবায়ু খাতে বাজেট বৃদ্ধি করা।
১৭। পিছিয়ে পড়া ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা।
১৮। যুব বিষয়ক গবেষণা ও উন্নয়নে “Youth Development Studies Center” প্রতিষ্ঠা করা।
১৯.বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এর উপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে।