বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কারাগারগুলোতে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ রয়েছে। শুধু স্বজনদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারছেন তারা। করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে চলছে এ অবস্থা।
ফলে মানসিক পীড়নের মধ্যে দিন কাটছে বন্দিদের। আর এ অবস্থায় কারা কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুমতিক্রমে দেশের সব কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগারের বন্দিদের বিনোদনের জন্য টেলিভিশনের ব্যবস্থা করছে। এখন থেকে তারা প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে দেখতে পারবেন টেলিভিশন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন।
দেশের ৬৮টি কারাগারে বর্তমানে বন্দির সংখ্যা প্রায় ৮৬ হাজার। সেখানে বন্দিরা সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করলেও তাদের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। সাধারণত জাতীয় কিংবা ধর্মীয় উত্সব ছাড়া তাদের আর বিনোদনের খুব একটা সুযোগ নেই। জানা গেছে, গত ৬ জুন কারা অধিদপ্তর থেকে বন্দিদের চিত্তবিনোদনের অংশ হিসেবে টিভি সেট কেনার জন্য একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিচালক কর্নেল মো. আবরার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিঠিটি দেশের সব কারা উপমহাপরিদর্শক, প্রতিটি কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার-জেল সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
কারা সূত্র জানায়, বন্দিদের টিভি দেখার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলবে কারা কর্তৃপক্ষ। নির্দিষ্ট সময় ছাড়া বন্দিরা টিভি দেখতে পারবেন না। দিনের বেলায় বন্দিদের বিভিন্ন রকম কাজ এবং কারা কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল কাজ থাকায় সে সময় বন্দিরা টিভি দেখতে পারবেন না। তবে লকআপ অর্থাত্ সন্ধ্যার পর বন্দিদের তেমন কোনো কাজ থাকে না। সে সময় তারা টিভি দেখার সুযোগ পেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে টিভি দেখার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হবে। প্রতি সন্ধ্যায় দুই ঘণ্টা করে টিভি দেখতে দেওয়া হতে পারে।
এ ব্যাপারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, কারাগারের নিজস্ব অর্থায়নে টেলিভিশন কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই বন্দিদের বিনোদনের জন্য টেলিভিশন কেনা হবে। কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, বন্দিদের যে কল্যাণ ফান্ড আছে সেখান থেকে টেলিভিশন কিনে দেওয়ার কথা বলেছি।