আইনজীবী তালিকাভুক্তিকরণে তৃতীয় পরীক্ষকের হাতে লিখিত পরীক্ষায় পাস করলেন আরও ১৩৩ জন আইন শিক্ষানবিশ।
বুধবার বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইড থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
মোট ২৩০ জন শিক্ষার্থীর খাতা মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয় তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে। এদের খাতা মূল্যায়ন করে ১৩৩ জনকে পাস দেয়া হয়। এই শিক্ষার্থীরা বার কাউন্সিলের ভাইবা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশটিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির সচিব জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম।
জানতে চাইলে বার কাউন্সিলের মোখলেসুর রহমান বাদল ঢাকাটাইসকে বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর খাতা প্রথমে দুজন পরীক্ষক মূল্যায়ন করেন। সেক্ষেত্রে পরীক্ষকদের নাম্বারের ভিন্নতা দেখা গেলে খাতাটি পাঠানো হয় তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে। তৃতীয় পরীক্ষক এটি মূল্যায়ন করলে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।’
গত ৩০ মে বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন পাঁচ হাজার ৩৩৫ জন শিক্ষার্থী।
এবারের লিখিত পরীক্ষায় ১৩ হাজারের মতো শিক্ষানবিশ আইনজীবীর অংশ নেন। কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার কারণে লিখিত পরীক্ষা দুইবার পেছায়।
২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় নয়টি কেন্দ্রে। রাজধানীর আজিমপুর গভমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মোহাম্মাপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মাদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, সেন্ট্রাল ইউমেন্স কলেজ, বিসিএসআইআর হাইস্কুল, গভর্মেন্ট মোহাম্মাদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ।
এর মধ্যে মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, বিসিএসআইআর উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরে বাতিল পাঁচটি কেন্দ্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি।
নয়টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিনের অজুহাতে কিছু শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের এবং অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে এমসিকিউতে উত্তীর্ণ হন মাত্র আট হাজার ৭৬৪ জন। এ ছাড়া ২০১৭ সালে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া তিন হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী এবারের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।
এর আগে ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বার কাউন্সিল। কিন্তু করোনার কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। তাই করোনার সংক্রমণের মধ্যে পূর্বের নোটিশ অনুসারে পরীক্ষা নিতে পারেনি বার কাউন্সিল। পরে, ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়।