গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই-সে নির্বাচন জাতীয় বা স্থানীয় যে পর্যায়েই অনুষ্ঠিত হোক। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বছরে পেছন ফিরে দেখার সময় এসেছে গত পাঁচ দশকে আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কতটা কার্যকর হয়েছে। গণতন্ত্র কতটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। এই প্রশ্নগুলোর মিমাংসা প্রয়োজন।
শনিবার (১২ জুন) বাংলাদেশ কংগ্রেসের বাংলামটরস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন সংস্কার আন্দোলন’র সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের মহাসচিব ও আন্দোলনের সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস মহাসচিব ও আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী এডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান ও আন্দোলনের উপদেষ্টা এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাপ’র মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিকল্প ধারার মহাসচিব এ্যাডঃ শাহ আহমেদ বাদল, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি’র চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, এ্যাডঃ ডঃ ইউনুস আলী আকন্দ, গণ রাজনৈতিক জোট-গর্জোর সভাপ্রধান সৈয়দ লিটু, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডঃ শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, বাংলাদেশ নাগরিক জোট-বিএনজে’র চেয়ারম্যান এইচ সিদ্দিকুর রহমান খোরশেদ, বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি-বিএইচপি’র মহাসচিব ডঃ সুফি সাগর সামস্, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সদস্য সচিব এ এফ এম উবাইদুল্লাহ মামুন, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, বাংলাদেশ কনজার্ভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান এম আনিছুর রহমান দেশ, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি’র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ মহিবুল্লাহ বাহার, বাংলাদেশ জনদলের যুগ্ম মহাসচিব মোঃ মনিরুজ্জামান নয়ন প্রমূখ।
সভায় আরো বলা হয় যে, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশেই নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আইন থাকলেও সংবিধানের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশে গত প্রায় পাঁচ দশকে এ বিষয়ে আইন প্রণীত হয়নি।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে সময়ে সময়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন রাজনৈতিক দলগুলো শুধু সংবিধান নির্দেশিত নির্বাচন কমিশন গঠন আইন প্রণয়নে উদ্যোগ নেওয়া থেকে বিরত থাকেনি, বরং তারা তাদের দলীয় ভাবধারায় বিশ্বাসী বা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দিয়ে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে তাদের সহায়তায় জয়লাভ করে ক্ষমতায় থাকার সময় দীর্ঘায়িত করেছে।
তারা আরো বলেন, গণতন্ত্র ও জনগনের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধান নির্দেশিত স্বাধীন ও স্থায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে যত তাড়াতাড়ি আইন প্রনয়ন করা যাবে, ততই দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। আর সেই লক্ষ্যেই ‘নির্বাচন সংস্কার আন্দোলন’ কাজ করে যাবে।