মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচজনের ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে নেওয়া হবে জানিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, আসামিদের ব্যাপারে সব ধরনের অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমণির করা মামলায় সোমবার নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরা গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় এক হাজার পিস ইয়াবা ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার অপর তিনজন হলেন- লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)।
সোমবার রাতে ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় তার বনানীর বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত জানান তিনি।
পরীমণির ভাষ্য, ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুটি গাড়িতে করে উত্তরার উদ্দেশে বেরোন তারা। পথে অমি নামের সঙ্গীদের একজন দুই মিনিটের কাজের কথা বলে তাদের বোট ক্লাবে নিয়ে যান। এ সময় পরীমণির সঙ্গে তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিও ছিলেন। ক্লাবে ভেতরে পরীমণিকে নির্যাতন করার সময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে জিমিও হামলার শিকার হন। এই জিমির মাধ্যমে বছর দুয়েক আগে অমির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পরীমণির।
পরীমণির অভিযোগ, ঘটনার পরপরই বনানী থানায় অভিযোগ করতে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তার অভিযোগ রেকর্ড করেননি। তারা তাকে সকালে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। এ সময় পুলিশের সাহায্যে পরীমনি হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েও আতঙ্কবশত চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান।
এ ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সোমবার ছয় জনের নামে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন পরীমণি। এর মধ্যে ব্যবসায়ী নাসির ও তুহিন সিদ্দিকীর নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি চারজন অজ্ঞাতনামা আসামি।