করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় গত বছরের মতো এবারও সৌদি আরবের নাগরিক ছাড়া অন্য কোনো দেশের নাগরিকরা হজে যেতে পারবেন না। তবে সৌদি আরবের নাগরিকের পাশাপাশি দেশটিতে অবস্থান করা অন্যান্য দেশের মুসলিমদের নিয়ে সীমিত পরিসরে এবারের হজ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। এর ফলে গত বছরের মতো এবারও হজে যেতে পারছেন না বাংলাদেশের কেউ।
শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরব সরকার জানিয়েছে, কোভিড-১৯ করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছরও (১৪৪২ হিজরি/২০২১ খ্রি.) সৌদি আরবের বাইরের কোনো দেশ থেকে হজযাত্রীগণ হজের সুযোগ পাবেন না। সৌদি আরবের নাগরিক এবং সৌদি আরবে অবস্থানকারী অন্যান্য দেশের মুসলিমদের নিয়ে সীমিত আকারে হজ পালিত হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার হজ নিবন্ধনের তারিখ কয়েক দফা সময় বৃদ্ধির পরেও সরকারি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৫ হাজার ৫১২ জন নিবন্ধন করেছেন। যদিও এবার হজে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার জনের হজে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
হিজরি সালের জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাপী ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় মিলনমেলা করোনাভাইরাসের কারণে গতবার বন্ধ ছিল। গত বছর অভ্যন্তরীণভাবে সীমিত পরিসরে হজ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ থেকে গত বছর এক লাখ ৩৭ হাজার হজযাত্রী যাওয়ার কথা থাকলেও কেউ যেতে পারেননি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে এবারও সীমিত পরিসরে হজ বন্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত এবারও সৌদি আরবে থাকা মুসলমানদের ছাড়া বাহিরের কোনো দেশের মানুষকে হজ পালনের অনুমতি দেয়নি সৌদি সরকার।