হাজার হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবি যখন আন্দোলন করেও বার সনদ অর্জনের জন্য পরীক্ষাই দিতে পারছে না তখন পরীক্ষা ছাড়াই একজনের সনদ প্রাপ্তি আমাদের ভিতর ক্ষোভ,হতাশা আর প্রশ্ন তৈরী করে আইন সবার জন্য্য সমান কিনা।এর বাইরেও সমাজ জীবনের নানা ঘটনা সাধারনের ভিতর একটা প্রশ্ন মাঝে মধ্যেই তৈরী করে আইন সবার জন্য সমান কি না?
দুই জন ব্যক্তি আলাদা আলাদা খুনের দায়ে অভিযুক্ত। আদালতে তাদের মামলা চলছে।দীর্ঘদিন মামলা চলার পর প্রমাণিত হলো তারা দুই জনেই খুনী। কিন্তু দেখা গেল একজনের ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হলো আর একজনের হলো মৃত্যদন্ড। এখানে উল্লেখ করার মত বিষয় হলো দুই জনেরই মামলা চলছিলো দন্ডবিধি-১৮৬০ এর একই ধারায়। এই বিশ্লেষণ অনেকের মনে প্রশ্ন তৈরী করতে পারে।
আপনি সংবিধানের ৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল ক্ষমতার মালিক কিন্তু বাস্তবে যখন আপনি পিয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও তার প্রতিবাদ করতে পারেন না, সিন্ডিকেট গণমাধ্যমে প্রকাশ হলেও তারা ছাড় পেয়ে যায় কিংবা আপনার উৎপাদিত ধানের মূল্য নিয়ে যখন একদল সুবিধা নেয় কিন্তু আপনার করার কিছুই থাকে না,করার চেষ্টা করেও ফল পান না তখন সাধারন জনগণ হিসেবে আপনি ভাবতে বাধ্য হন আইনের সমতা বা আইনের আশ্রয় লাভ শুধুই কি একটি তাত্ত্বিক বিষয় ব্যাবহারিক বিষয় নয়। আপনার এই ধারনা আরো শক্ত হয় যখন দেখেন একজন সৎ মানুষের সামাজিক মূল্যায়ন এবং অবস্থান একজন সমাজের ঘুষখোর দূর্নীতিবাজদের চেয়ে নিচে। সৎ হওয়া সত্ত্বেও সাধারন জনগণ তাদের অধিকার পাচ্ছে না কিন্তু যাদের শাস্তি পাবার কথা তারা শাস্তি পাবার পরিবর্তে বরং আরো বেশী সুবিধা পাচ্ছে আরো বেশী সুবিধা নিয়ে সমাজে বসবাস করছে।
আপনি জানেন আইন সবার জন্য সমান কিন্তু আপনি যখন দন্ডবিধি-১৮৬০ এর ৪৯৭ ধারা অনুসারে পরকীয়ার বিষয়ে মামলা করতে গেলে আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেনা কিন্তু পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে সহজে মামলা করতে পারছেন তখন আপনার মনের অবস্থা কেমন হবে। আপনি আপনার স্ত্রী দ্বারা নির্যাতিত হলেও আপনার প্রতিকার খুবই সীমিত। দন্ডবিধি-১৮৬০ এর ৩৭৫ ধারা ধর্ষণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যখন পুরুষের ভূমিকা তুলে ধরে বা পারিবারিক সহিংসতা ( প্রতিকার ও সুরক্ষা ) আইন-২০১০ ইত্যাদি বর্তমানে নারীর ক্ষমতায়নের যুগে একপাক্ষিক বোধ করা দোষের কিছু নয়। এসব নিয়ে অনেক সচেতন নারী মহলও বিরোধ প্রকাশ করে ।
আপনি যখন দেখেন বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় তা বারবার বাতিলের কথা বলা হয় কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর সেই আইনের প্রয়োগ একশ্রেণীর মানুষের উপর কড়াকড়ি প্রয়োগ করা হয় আর এক শ্রেণীর মানুষের জন্য তার প্রয়োগ থাকে দূরে তখন সচেতন মানুষ হিসেবে আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে। এর বাইরে ফেীজদারী কার্যবিধি-১৮৯৮ এর ৫৪ ধারা বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিধানগুলো সবার জন্য সমান ভাবে প্রয়োগ না করে ভিন্ন কিছু করা হয় এটিও নিয়েও জনমনে নানা রকম প্রশ্ন প্রচলিত আছে যার অবসান করা সময়ের দাবী। আবার আপনি যখন সরকারী কর্মচারীর নামে,সরকারের বিরুদ্ধে বা বিশেষ কোন রাজনীতিবীদের বিরুদ্ধে,বা প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে বিশেষ জটিলতায় পড়ে যাবেন: নয়ত আপনি যখন দেখবেন মন্ত্রী,সাংসদদের সহজ চলাচলের জন্য রাস্তা আটকে সাধারন মানুষকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে, এসবের বাইরে যখন আপনার নজরে বারবার আসে গ্রামে একজন ছিচকে চোর ধরা পড়ে ও শাস্তি পায় কিন্তু কালোবাজারি,মজুতদার,দূর্নীতিবাজ ক্ষমতার অপব্যবহারকারীরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে যদিও গণমাধ্যমগুলো এদের সমন্ধে বারবার তথ্য প্রকাশ করে ।
এই ঘটনা সাধারন জনমনে নানা রকম প্রশ্ন তৈরী করছে আইন ও আইনের প্রয়োগ নিয়ে আইনের প্রতি যে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা তারা ধারন করে নানা ভাবে তা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যে সমতার প্রত্যাশা সংবিধানের ১০ নং ধারা থেকে আসে তা নানা কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।জনগন তাদের কাজের মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধ করতে আগ্রহী কিন্তু নানা কারনে তাদের সে পথ সীমিত হচ্ছে।আইন ও আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে সামাজিক রাজনৈতিক যে ইতিবাচক পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে তা আজ এক রকম মরীচিকার মত হয়ে গেছে আর তাই সাধারনের মনে সাধারন একটি প্রশ্ন জন্ম নিচ্ছে আইন কি সবার জন্য সত্যিই সমান? আইনের সমতা একটি আপেক্ষিক বিষয় নাকি নিছক কথার কথা?
আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তথ্যের মত করে বলা যায় আইনের সমতা বিষয়টি কার সাথে তুলনা করা হচ্ছে বা কি মানে মাপা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে আইন সবার জন্য সমান হবে বা হবে না।তবে আপাতদৃষ্টে আমরা মনে করি আইন সবার জন্য সমান নয়। সত্যিই আইন সবার জন্য সমান নয়। আইন ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে,গোষ্ঠী থেকে থেকে গোষ্ঠীতে ভিন্নতা দেখায়। আইনের মাধ্যমেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসমতা তৈরী করে সমতা আনার চেষ্টা করা হয় মাঝে মাঝে তা সফল হয় মাঝে মাঝে তা বিতর্ক তৈরী করে এর প্রয়োগের কারনে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থানর সুনির্দৃষ্ট পরিকল্পনাই রাজনৈতিক দলের সদিচ্চা প্রকাশ করে যার মাধ্যমে সমাজের সামগ্রিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে দ্রুত ও কার্যকরীভাবে।
আইনের সৃষ্টি যদি সঠিক সত্ত্বার মাধ্যমে না হয় তাহলে এর প্রয়োগেও দূর্বলতা আসা স্বাভাবিক।আইন সমাজে শান্তি আনবে,স্বাধীনতার সুখ ভোগে ও কর্তব্য- অধিকারে আনবে স্বচ্ছতা এটাই আমাদের বিশ্বাস তবুও আমরা আমাদের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ভিন্ন রকম ভাবি,ভিন্ন রকমের মন্তব্য করি ও করতে বাধ্য হই। আমরা এবার সাধারন কিছু ঘটনার দিকে নজর দিই, একজন ব্যক্তি রাস্তায় মোটরসাইকেল সহ পুলিশের কাছে আটক হলো। পুলিশ দেখলো তার হেলমেট নাই। তখন পুলিশ তাকে কড়া ভাষায় জানিয়ে দিলো হেলমেট ছাড়া চালক হবার শাস্তি কি। ড্রাইভিং লাইসেন্স না পেয়ে পুলিশ আরো কড়া হলো ও জানালো তার আপরাধের মাত্রা ও শাস্তি সমন্ধে। মোটরসাইকেল আরোহীর ভয় বেড়েইে চলেছে।আবার গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন খোজ করতে গিয়ে দেখা সেটি এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করে নি । এ তো বড় ধরনের অপরাধ,তবুও ব্যক্তিটির চাই সহজ মুক্তি।
সহজ মুক্তির জন্য ভয় থেকে নগদ কিছু দিতে ব্যক্তিটিই নিজের থেকে আগ্রহী হয় আর নগদ কিছু পেয়ে পুলিশটিও লাভবান হয়। আসলে আইন ছিলো বলে তা উপস্থাপন করে ভয় সৃষ্টি করা খুবই সহজ হয়েছে যা সহজ অবৈধ আয়ের পথ তৈরী করেছে কারো কারো জন্য,সহজ হয়েছে আইনী প্রকিয়ায় বে-আইনী কাজ করা। রেলগাড়িতে ভ্রমণের জন্য অবশ্যই আপনাকে টিকেট কাটতে হবে। আপনি টিকেট ছাড়া গাড়িতে উঠে অপরাধ করলেন বটে টিটি( টিকেট চেকার) আপনার কাছ এর জন্য কিছু পেল এবং আপনি ছাড়া পেয়ে গেলেন। আপনার সহজমুক্তি রাষ্ট্রকে বঞ্চিত করলো আর দ্বায়িত্বরত ব্যক্তিটি পেল লাভ। আইন এখানে কারো জন্য বে-আইনি কাজ করার সহজ মাধ্যম তৈরী করলো।
আবার স্থানীয় পর্যায়ে মারামারি,কাটাকাটি ও হানাহানি ইত্যাদি হয় বলেই স্থানীয় কিছু রাজনীতিবীদ দালাল ও পুলিশ সুবিধা পায়।
এমন ক্ষেত্রে তাদের চাওয়া হতেই পারে সমাজে অশান্তি লেগেই থাকুক আর তাদের পকেট ভারী হোক।আর এরূপক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা থাকা অ-স্বাভাবিক নয় নয় বলে সাধারণের ধারনা আর যার প্রভাব পড়ে আইন সবার জন্য সমান এই এই বিষয়টির উপর।
আইনের উদ্দেশ্য যতই সৎ হোক না কেন এর উপর মানুষের,সমাজের বা রাষ্ট্রের উপকার নির্ভর করে সে আইন কার মাধ্যমে, কে সেই আইনকে সাথে নিয়ে জনগণের কাছে থেকে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে তার ইচ্ছার উপর।
আইন বিভাগের মাধ্যমে আইন তৈরী হয়,বিচার বিভাগ তা প্রয়োগ করে রায় দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে কিন্তু সেই রায় মূলত বাস্তবায়ন করা হয় নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে। নির্বাহী বিভাগ বা আইন বিভাগ যতটা জনগণের সাথে মিশতে পারে,জনগণের সাথে যতটা যোগাযোগ রাখতে পারে বিচার বিভাগ ততটা পারে না আর তাই জন সাধারনের মন বিবেচনায় তাদের কিছু দূর্বলতা পরিলক্ষিত হতে পারে যা আইনের প্রয়োগের উপর প্রভাব ফেলে এবং আমাদের মনে প্রশ্ন তৈরী করতে পারে।
সাংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদে আইনের সমতা বিষয়ে বলা হয়েছে ‘ আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’আবার সংবিধানের ৩১ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘আইনের আশ্রয় লাভ এবং কেবল আইন অনুযায়ী ব্যবহার লাভ যে কোন স্থানে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং বিশেষত আইন অনুযায়ী ব্যতিত এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না,যাতে কোন ব্যক্তির জীবন,স্বাধীনতা,দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।’
সাংবিধানের ২৭ নং এবং ৩১ নং অনুচ্ছেদ একত্রে পড়লে ও বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ২৭ নং এ যে সমতার কথা বলা হয়েছে তা ৩১ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করে ভিন্ন করা যায়। সংবিধান যেন সমতা তৈরী করার বিধান দিয়েছে তেমনি পরিস্থিতি বিবেচনায় তার ভঙ্গকরণ সমর্থন করে।
তাহলে আইনের সমতা বলতে কি বুঝানো হয়েছে? আইনের সমতা বলতে বুঝানো হয় আইন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই প্রতিকার দিবে এবং যে ক্ষতি করেছে তাকে শাস্তি দিবে এবং আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ নির্ভর। সাক্ষ্য প্রমাণ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে আদালতকে একই অপরাধে মাঝে মাঝে ভিন্ন ভিন্ন শাস্তি দিয়ে থাকে। তবুও আইনের সমতা নিয়ে জনমনে যে প্রশ্ন তৈরী হয়েছে তার নিরসন করা অবশ্যই করা দরকার আর এজন্য আমরা কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। এ বিষয়ে আমার কিছু সুপারিশ আছে…
সুপারিশ নং ০১. আইন যাদের জন্য তৈরী হবে ও যে তৈরী করবে তাদের সহ আইনজ্ঞ ব্যক্তির সম্বনয়ে গবেষণা কমিটির গবেষণা সাপেক্ষে আইন তৈরী করা।
সুপারিশ নং ০২. নির্বাহি বিভাগ কিছু বিচারিক ক্ষমতা ভোগ করে তেমনি বিচার বিভাগকেও বাধ্যকরী ক্ষমতার জন্য কিছু নির্বাহী ক্ষমতা দেয়া।
সুপারিশ নং ০৩. সমন,ওয়ারেন্ট,ক্রোক,টাইম পিটিশন, আপিল, রিভিই, রিভিশন, লিভ টু আপিল ইত্যাদি লম্বা প্রকিয়াগুলোকে একটি প্রকিয়ার মধ্যে এনে কড়াকড়ি প্রয়োগ করা।
সুপারিশ নং ০৪. তদন্তের কাজে বিচার বিভাগের আলাদা বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত টিম তৈরী করে একান্ত তদন্ত চালানো এবং জনগণের সাথে বিচার বিভাগের যোগাযোগ বা পরিচয় বাড়ানো।
সুপারিশ নং ০৫. বিচার বিভাগের বাইরে যারা আইনটি নিয়ে জনগণের কাছাকাছি যাবার সুযোগ আছে ও যায় তাদের প্রতি আলাদা নজরদারী বিধান রাখতে হবে।
সুপারিশ নং ০৬. যে আইন ও আইনের প্রয়োগ নিয়ে বিতর্ক আছে তা দূরীভূত করতে গবেষণা টিম তৈরী করতে হবে ও জনমত যাচাই করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সুপারিশ নং ০৭. আইনের ভাষাকে আরো সহজ ও ব্যাখ্যামূলক করতে হবে এবং একই বিষয় আইন বা ধারাগুলোকে একত্রে করে আইন অধ্যয়নকে সবার জন্য সমান করতে হবে।
সুপারিশ নং ০৮. আইন বিভাগে সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদকে শুধুমাত্র অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে।
সুপারিশ নং ০৯. গ্রাম আদালতকে আরো জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য করতে বিচার বিভাগীয় পদ ও নিরাপত্তা তৈরী করতে হবে।
সুপারিশ নং ১০. স্কুল পর্যায় থেকে জন গুরুত্বপূর্ণ আইন বা আইনের ধারা অন্তর্ভূক্ত করতে হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীর স্থানীয় ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সবাইকে জানানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
আইনের প্রতি জনগণের ভালোবাসা,ভরসা, শ্রদ্ধা আর প্রত্যাশা ধরে রাখতে দ্বায়িত্ববানরা তাদের যথাযথ দ্বায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে আমরা আশা রাখি। আর নয়ত জনমনে যে প্রশ্ন তৈরী হচ্ছে তা আমাদের ভোগাতে পারে।
লেখক: নূরুন্নবী সবুজ ,সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,কুষ্টিয়া
লেখকের ব্যক্তিগত মতামত