বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এই দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী এবং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষর্থী খাইরুল ইসলাম সোহাগ।
বুধবার বিকাল ৪ টায় নগরীর রয়েলে রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত সামাজিক সংগঠন জাগ্রত তারুণ্যের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী শাহবাজ মিয়া শোভন।
এর আগে গত ৬ মার্চ ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্তা, গুজব, অসত্য ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিনের কাছে চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন শাহবাজ মিয়া শোভন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থী বলেন, ৬ মার্চ খাইরুল ইসলাম সোহাগ ও তার সংঘবন্ধ চক্র ৫ হাজার টাকা দাবি করে এবং বিকাল ৫ টার মধ্যে চাঁদা দিতে না পারলে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হবে বলে জানায়। চাঁদা না পেয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ না করে মনগড়া বিবৃতি দেয় এবং সংবাদে অভিযুক্ত শেখাই পরিবার সংগঠনের রাজু রাজ ও হিমেল হাবিবের বক্তব্য বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা পরবর্তিতে তারা সাংগঠনিকভাবে বিবৃতি প্রকাশ করে বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
উল্লিখিত হিমেল হাবিব মিথ্যা নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের সেই শিক্ষার্থী মিষ্টি খাওয়া বাবদ হাবিবের কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। শাহবাজ মিয়া শোভনের দাবি, এই সংঘবন্ধ কুচক্রী মহলের প্রধান জাতীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে বিভন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করেন।
তিনি বলেন, তাদের অপকর্মের ব্যাপারে অনেকেই জ্ঞাত কিন্তু মানসম্মানের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননা। আমি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে মানহানি হওয়ায় খুবই অসহায়ত্ব বোধ করে হলুদ সাংবাদিকের মুখোশ উন্মোচন করেছি। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
শাহবাজ মিয়া শোভন বলেন, আমাদের জড়িয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার জাগ্রত তারুণ্যের উদ্যোগে মানববন্ধন করা হবে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে।