নবাব স্যার সলিমুল্লাহ আমাদের ইতিহাসের দ্যুতিময় ব্যক্তিত্ব বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, উপমহাদেশের আজাদি ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের এক অগ্রনায়ক ও উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ছিলেন মুসলিম জাতীয়তাবাদী নেতা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক। যদিও আজকাল আমরা আর তার নামটি স্মরণ করতে চাই না। কেন যেন আজকাল আমরা অনেকের কৃতিত্বই ভুলে যেতে চাইছি অথবা মুছে ফেলতে চাচ্ছি। ফলে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ অনেকটা আড়ালেই যেন চলে যাচ্ছেন।
সোমবার (৭ জুন) নবাব স্যার সলিমুল্লাহ’র ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বেগম বাজারে তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন ও ফাতেহা পাঠের পর তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলে শিক্ষা, সমাজ, জনকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক চিন্তা ও কর্ম ছিল নবাব স্যার সলিমুল্লাহর জীবনের অপরিহার্য অংশ। তার পৃষ্ঠপোষকতার ফলে উনিশ শতকের শেষ ভাগ থেকে বিশ শতকের প্রায় দেড় দশক পর্যন্ত শাহবাগের নওয়াব বাড়ি শুধু রাজনৈতিক বা সামাজিক কর্মস্থলই নয়, নাটক, সঙ্গীত, চিত্রকলা, ক্রীড়া তথা দেশের প্রধান সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
তিনি বলেন, পূর্ববাংলার মানুষের অধিকার ও স্বার্থ আদায়ে বিশ শতকের গোঁড়ার দিকে যিনি নেতৃত্বের হাল ধরেন, তিনি হলেন নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ। বাস্তববাদী এই তরুণ নবাব উপলব্ধি করেছিলেন, পূর্ব বাংলার পশ্চাৎপদ ও দরিদ্র মুসলমানদের শিক্ষা দীক্ষায় উন্নত করতে না পারলে তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি আসবে না। ঢাকার নবাব হিসেবে তার প্রথম পদক্ষেপ ছিল মহল্লায় মহল্লায় নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন। এ থেকেই বোঝা যায় যে তিনি শিক্ষা বিস্তারে কতটা মনোযোগী ছিলেন।
তিনি বলেন, মাত্র ৪৪ বছরের জীবনে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ সর্বভারতীয় পর্যায়ে যতটুকু প্রভাব ফেলতে পেরেছিলেন তা তার উত্তর ও পূর্বপুরুষদের কেউই পারেননি। তিনি নিজ জনগোষ্ঠী ও পূর্ববঙ্গ অর্থাৎ বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রতি বিশেষ সহানুভূতিশীল ছিলেন। তার আত্মত্যাগ যুগ যুগ স্মরণ করবে আপামর জনতা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ঢাকা নবাব স্যার সলিমুল্লাহ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ইমরান হাসান, এডভোকেট আফতাব হোসেন মোল্লা, মো. নজরুল ইসলাম, আবদুল জাব্বার প্রমুখ।