তালহা জাহিদঃ- সোমবার ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এবছর দিবসটির স্লোগান হচ্ছে ‘তথ্য জনগণের পণ্য’।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেল ৪ টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাবের সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনিরুল আলম স্বপন খন্দকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক ও দখিনের সময় প্রধান সম্পাদক আলম রায়হান, রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মিথুন সাহা।
এছাড়া বরিশাল অনলাইন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মামুনুর রশীদ নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদ, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি এম আর প্রিন্স বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, কভিড-১৯ এই দুর্যোগকালে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের পেশাগত ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি আরও প্রকট হয়েছে। বহু গণমাধ্যম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য সাংবাদিক চাকুরিচ্যুত কিংবা পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছেন। তাই মুক্ত গণমাধ্যম এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে অবিলম্বে স্বাধীন ও পেশাদার গণমাধ্যমের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানান।
সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদানের পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু প্রকাশ্য ও প্রচ্ছন্ন নানামুখী চাপ ও বিধিনিষেধের বেড়াজালে সাংবিধানিক এই অধিকার মলাটবদ্ধ নথিতে রূপান্তরিত হয়েছে। আলোচনা সভায় বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহবান জানান। এছাড়া বক্তারা স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করে, এমন আইন ও আইনের ধারা সংশোধনেরও দাবি জানিয়েছেন।
১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় (৩ মে) তারিখটিকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অথবা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
ইফতার ও দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।