আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটের গোলাপগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী শাহিন হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো র্যাব-৯। শনিবার (১ মে) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব গোলাপগঞ্জ ধানাধীন হাজীপুর শুকনা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করে। রোববার (২ মে) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের হত্যা মামলার গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে পুলিশ এ মামলায় আরো ৮ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছিলো।
যাদের গ্রেফতার করা হয় তারা হলেন কায়স্থগ্রামের কুসুমবাগের জামাল হোসেনের ছেলে সরোয়ার হোসেন (২৪) ও হাজিপুর শুকনাগ্রামের মৃত তৈয়বুর রহমানের ছেলে মাজেদুর রহমান (৩৭) একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে শাকিল আহমদ (২৬), মাহবুবুর রহমানের ছেলে ওয়াহিদুর রহমান ওরফে সানি (২৭)
একটি সূত্র জানায়, শাহিন হত্যার পরের দিন সোমবার (২৩ মার্চ) গোলাপগঞ্জ বাইপাসে সকাল-দুপুরের যে কোনে এক সময় শাহিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি চালু করা হয়। চালু করার ঠিক ৫ মিনিটের মাথায় আবারো মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এই সময়ে র্যাব তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীদের অবস্থান চিহ্নিত করে। এর সূত্র ধরে প্রথমে ওয়াহিদুর রহমান ওরফে সানি (২৭) কে গ্রেফতার করা হয়। পরে সানির দেওয়া তথ্য থেকে এই ঘটনার সাথে জড়িত আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট র্যাব-৯ এর এসএসপি ওবাইন। তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জের ব্যবসায়ী শাহিন আহমদ হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করে র্যাব।
জানা যায়, গত ২২ মার্চ রাতে জরুরি কাজ শেষ করে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফির ছিলেন গোলাগঞ্জের হেতিমগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এহতেশামুল হক শাহিন। সিলেটে নেমে তিনি সিএনজি যোগে বাড়ি পথে যাত্রা করলে নিজ গ্রাম হাজীপুর লরিফর রাস্তার ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র মুখোশধারী অজ্ঞাত কয়েজন সন্ত্রাসী রাস্তায় কলাগাছ ফেলে গাড়ির গতিরোধ করে। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় শাহিনের উপর। এসময় শাহিনের সাথে সন্ত্রাসীদের ধস্তধস্তির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন করে পালিয়ে যায়। পরে শাহিনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শাহিন হত্যার ঘটনায় পরের দিন তার ছোট ভাই ইফতেখারুল হক সবুজ অজ্ঞাত কয়েক জন আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।