রাজধানীতে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যা মামলার ফরেনসিক রিপোর্ট পেতে আরো দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই উন্মোচিত হবে মুনিয়ার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য।
গত মঙ্গলবার ( ২৭ এপ্রিল ) গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজ শিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে কুমিল্লায় মরদেহ দাফন করা হয়। ময়নাতদন্ত করার পর কেটে গেছে ৫ দিন।
রিপোর্ট পেতে কেন এই বিলম্ব? প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুনিয়াকে বিষ প্রয়োগ কিংবা ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা এমন বেশ কয়েকটি বিষয় পরীক্ষার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। যার জন্য প্রয়োজন ভিসেরা, ডিএনএ ও মাইক্রো বায়োলজিক্যাল পরীক্ষা, যা সময় সাপেক্ষ। এ কারণেই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেতে দেড় থেকে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সেলিম রেজা বলেন, প্রাসঙ্গিক ভিসেরা পাঠিয়েছি। সেগুলোর রিপোর্ট আসতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। এ ছাড়া ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের ব্যাপারটাও ১২ সপ্তাহের মতো লাগবে। মাইক্রো বায়োলজিক্যালসহ সব মিলিয়ে একটু সময় লাগবে। অধ্যাপক সেলিম রেজা বলেন, এ রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেন। আগামী ৩০ মে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে।