নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- দাফনের এক মাস পর আদালতের নির্দেশে ম্যাজিষ্ট্রেট, চিকিৎসক ও পুলিশের উপস্থিতিতে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক হাওলাদারের লাশ বুধবার দুপুরে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে নিয়োগকৃত ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হাশেম, চিকিৎসক ডাঃ জাহিদুল ইসলাম, শেবাচিম হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডোম বিজয় ও মামলার তদন্তকারী অফিসারের উপস্থিতিতে মালেক হাওলাদারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। লাশ উত্তোলনের পর ওইদিনই ময়নাতদন্তরে জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি মাজহারুল ইসলাম আরও জানান, উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী মালেক হাওলাদার গত ৮ মার্চ রাতে মারা গেলে পরেরদিন সকালে তার লাশ দাফন করে পরিবারের লোকজন।
মালেক হাওলাদারের একমাত্র মেয়ে জামাতা একই গ্রামের আইয়ুব আলী পাইকের পুত্র আসাদুল হক পাইক বুলু তার শ্বশুর আব্দুল মালেক মিয়ার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়; বরং তাকে তার পরিবার সদস্যরা হত্যা করেছে এমন অভিযোগ এনে গত ১৫ মার্চ বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মালেক হাওলাদারের তিন পুত্র, তাদের স্ত্রী, ছেলেসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আমিনুল ইসলাম আগৈলঝাড়া থানার ওসিকে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গন্য করে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করলে ১৭ মার্চ থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে মালেক হাওলাদারের মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটনে দাফনের প্রায় ১ মাস পর বুধবার কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।’