হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মাদ মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে ‘ঘেরাও’ করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, মামুনুল এক নারীসহ আটক হয়েছেন। যদিও ওই নারীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন মামুনুল হক। আর পুলিশ বলেছে, মামুনুলকে ‘ঘেরাও’য়ের খবরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে।
শনিবার (৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এ ঘটনা ঘটে।
সেই ঘটনার ভিডিওতে মামুনুলকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতে দেখা যায় ‘জনতা’কে। তখন মামুনুলকে বলতে শোনা যায়, তিনি গত দুই বছর আগে বিয়ে করেছেন। আজ (শনিবার) দুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে এসেছেন তিনি। জাদুঘর ঘুরে দেখে বিশ্রাম নেয়ার জন্য ওই রিসোর্টে আসেন। এরপর লোকেরা এসে তাকে বিবাহিত স্ত্রীসহ নাজেহাল করে।
এ সময় পাশ থেকে কয়েকজনকে উচ্চস্বরে বলতে শোনা যায়, ‘সারাদেশে আন্দোলন জ্বালাও-পোড়াও করে এখন রিসোর্টে আসছেন আনন্দ করতে?’ উত্তরে মামুনুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আল্লাহর কসম করে বলছি, উনি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। আমাদের কাছে সব প্রমাণ আছে। দেশের আন্দোলনের সঙ্গে এটা কিসের সম্পর্ক?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) তবিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মামুনুল হক ও ওই নারী আমাদের হেফাজতে আছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
আর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম গনমাধ্যমকে বলেছেন, ‘হেফাজত নেতা মামুনুল হককে আটক কিংবা গ্রেফতার কোনোটিই করা হয়নি। স্থানীয়রা তাকে ঘিরে ফেলায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক আনতে সক্ষম হয়। তবে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে।’
এসপি আরও বলেন, ‘পুলিশ মামুনুল হককে রিসোর্ট থেকে অন্যত্র চলে যেতে বললেও তিনি আরও কিছুক্ষণ হোটেলেই থাকার কথা জানান