সারা দেশে কারাগারগুলোতে ডাক্তার নিয়োগে আদালতের আদেশ অমান্য করা এবং আদালতের কাছে অসত্য তথ্য দেওয়ার অভিযোগ এনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আদালত অবমাননার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জে আর খান রবিন রবিবার এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কারাগারে অন্তবর্তীকালীন ১১৭টি শুন্য পদে ডাক্তার নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানে হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়েছে। গত ৪ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ‘৬৮ কারাগারে ডাক্তার ৭’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুকত করে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, দেশের ৬৮টি কারাগারে ৪০ হাজার ৬৬৪ কারাবন্দীর ধারন ক্ষমতা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে এর চেয়ে ২/৩ গুন বেশী কারাবন্দী কারগারে অবস্থান করেন। অন্যদিকে ১৪১টি কারা ডাক্তারের পদের বিপরীতে ডাক্তার ছিল মাত্র ৯জন। এতে করে কারাবন্দীদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আইনজীবী মো. জেআর খান রবিন জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন দাখিল করেন। ওই রিট আবেদনে ২০১৯ সালের ২৩ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন। কারা কর্তৃপক্ষকে সার্বিক বিষয়ে আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি হাইকোর্ট অনতিবিলম্বে শুন্য পদে ১১৭ জন ডাক্তার নিয়োগ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে নির্দেশ দেন।
এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি কারা কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে হাইকোর্টকে জানায় য়ে, ১৪১টি পদের বিপরীতে ১২২ জন ডাক্তার দেশের বিভিন্ন কারাগারে নিয়োজিত আছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ জন, সিলেট বিভাগে ১৭ জন, খুলনা বিভাগে ১৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ জন নিয়োজিত আছেন। ১২২ জনের মধ্যে ৭ জন ডেপুটেশনে এবং ১০৫ জন পর্যায়ক্রমে সংযুক্ত আছেন।’
আইনজীবী মো. জেআর খান (রবিন) বলেন, এ বিষয়ে গত ৪ মার্চ দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এখনো কারাগারে ১৩৪টি ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে। এ রিপোর্ট সত্য হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি আদালতের আদেশ অনুসারে কারাগারে ডাক্তার নিয়োগ না দিয়ে আদালত আদেশ অমান্য করেছেন। একইসঙ্গে কারা কর্তৃপক্ষ ডাক্তার নিয়োগের বিষয়ে
সঠিক তথ্য সরবরাহ না করায় তাদের কাজও আদালত অবমানের সামিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়েছে।