আধুনিকতার নামে পুঁজিবাদী সমাজ নারীকে পণ্যে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, শুধু আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করলেই নারী মুক্তি সম্ভব নয়। নারী মুক্তির লড়াই একটি রাজনৈতিক মতাদর্শিক লড়াই।
রবিবার ( ৭ মার্চ ) ‘৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, সমাজে নারীর অবস্থান কি হবে তা আসলে নির্ভর করে নারীর প্রতি সমাজ ও রাষ্ট্রের কি দৃষ্টিভঙ্গি তার ওপর। নারী-পুরুষের সমতার বাংলাদেশ গড়তে হলে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, কেবলমাত্র নারীর অধিকারের মুক্তির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির অধিকার নিশ্চিত করা না হলে প্রকৃত মুক্তি আসবে না। সামাজিক বাধা, রাষ্ট্রীয় বাধাসহ সকল প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। এবার পাড়া-মহল্লায় ছড়িয়ে দিতে হবে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির মিছিল।
তারা বলেন, নারীদের অধিকারের স্বীকৃতির জন্য অতীতে আন্দোলন করতে হয়েছে। আজও করতে হয়। আজকের নারীমুক্তি আন্দোলনের অগ্রপথিক হিসেবে বহু নারী কাজ করে গেছেন যাঁদের নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়নি।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে নারীদেরও গৌরবজনক ভূমিকা আছে। আজকে সাক্ষরতার হার বেড়েছে, নারীর ক্ষমতায়নে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। মেয়েরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, রাজনীতি সর্বক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে। আমাদের উনিশ শতকের মানবতাবাদের প্রথম শর্তই ছিল নারীমুক্তি। নারীর যাবতীয় সমস্যাকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করা প্রয়োজন।
তারা বলেন, অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই নারীর মুক্তি সম্ভব। নারীর প্রতি নিপীড়নের বিরুদ্ধে নারী-পুরুষ যৌথভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলে গণজাগরণ ঘটানো সময়ের যৌক্তিক দাবি। নারী সমাজের লড়াই শুধু তাদের একার লড়াই নয়। এ লড়াইয়ে নারী-পুরুষ সবাইকেই অংশগ্রহণ করতে হবে।