নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন- চরমোনাই মাহফিল দুনিয়াবি উদ্দেশে নয় বরং পথভোলা মানুষকে আল্লাহ’র সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই এই মাহফিল। সুতরাং এখানে দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আসার প্রয়োজন নেই। যদি এমন কেউ এসে থাকেন তবে নিয়ত পরিবর্তন করে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুত হন।
গতকাল বুধবার বাদ জোহর চরমোনাই মাদ্রাসার মূল মাঠসহ আশেপাশের পাঁচটি মাঠ নিয়ে অনুষ্ঠিত চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা চরমোনাইতে নতুন এসেছেন, তারা দুনিয়ার ধ্যান-খেয়াল বাদ দিয়ে আখিরাতের ধ্যান-খেয়াল অন্তরে জায়গা দেন। দিল থেকে বড়ত্ব এবং আমিত্ব ভাব বের করে দিয়ে আল্লাহ’র কুদরতি পায়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে। সদা-সর্বদা আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে দিলকে তরতাজা রেখে আল্লাহর ওলি হয়ে চরমোনাই থেকে বিদায় নিতে হবে।
নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই মাহফিলে মুসল্লিদের জমায়েত শুরু হয়। এক সপ্তাহ আগেই পাঁচটি মাঠ পূর্ণ হয়ে যায় মাহফিলে আগত মুসল্লিদের মাধ্যমে। এতে কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী চরমোনাই ইউনিয়নের বিস্তৃত একটি এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। উদ্বোধনী বয়ানের সময় দেখা গেছে, কোথাও যায়গা না পেয়ে চরমোনাই এলাকার বিভিন্ন বাগান, পুকুরপাড় এবং মানুষের বসতবাড়ির উঠোনে জায়গা নিয়েছে আগত মুসল্লিরা।
মাহফিলে মূল ৭টি বয়ান ছাড়াও অন্যান্য সময়গুলোতে নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন ও চরমোনাই কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, শায়েখ ফজলুল করীম রহ. এর ভ্রাতা মাওলানা সৈয়দ নাসির আহমাদ কাওছার, মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ জিয়াউল করীমসহ দেশ-বিদেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামগণ গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করবেন।
চরমোনাই মাহফিলে আগত ৭ জন মুসল্লি বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে চরমোনাইর তিন দিনব্যাপী মাহফিল শেষ হবে।