এপিএস নিউজ ডেস্ক, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় নিয়োজিত সব চিকিৎসকের পাশে দাঁড়াল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দিশা। কুষ্টিয়ায় যেসব চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেবেন বা রোগীদের সংস্পর্শে যাবেন, সেই সব চিকিৎসক নিজের বাড়িতে না থেকে সংস্থার দিশা টাওয়ারের আবাসিক কক্ষে থাকবেন। সেখান থেকেই তাঁরা হাসপাতালে যাওয়া-আসা করবেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দিশার নির্বাহী পরিচালক রবিউল ইসলামের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে এ নিয়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সাবেক অধ্যক্ষ এস এম মুসতানজীদ, সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম, জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আজ বুধবার দুপুরে দিশার নির্বাহী পরিচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ১৫ এপ্রিল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাংসদ মাহবুব উল আলম হানিফ চিকিৎসকের নিরাপত্তা ও সেবা দেওয়ার জন্য দিশা টাওয়ারের অত্যাধুনিক আবাসিক কক্ষগুলো ব্যবহারের অনুরোধ জানান। তারই ধারাবাহিকতায় কক্ষগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। এই দুর্যোগ মুহূর্তে চিকিৎসকদের যেকোনো প্রয়োজনে দিশা কাজ করে যাবে।
রবিউল ইসলাম জানান, সম্প্রতি দিশার পক্ষ থেকে জেলার ১ হাজার পরিবারকে ১৫ দিনের খাদ্যসামগ্রী জেলা প্রশাসকের কাছে দিয়েছিলেন। ওই খাদ্যসামগ্রীগুলো সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিতরণ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবির গনমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা যারা সরাসরি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিচ্ছি, তাদের আলাদাভাবে থাকা প্রয়োজন। সেই বিবেচনায় দিশার এগিয়ে আসা খুবই ভালো ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। চিকিৎসকদের মনকে উজ্জীবিত করতে এ রকম উদ্যোগ আরও গ্রহণ করা দরকার।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার বলেন, করোনা রোগীদের সেবা দিতে পালাক্রমে অন্তত ২০ জন চিকিৎসক কাজ করবেন। এ ছাড়া যেসব নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী করোনো রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন, তাঁদের হাসপাতালের ক্যাম্পাসের ভেতরে ও হাসপাতালের সামনে ম্যাটস হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
কুষ্টিয়ায় গতকাল বুধবার প্রথম দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সূত্রঃ প্রথম আলো।
এপিএস/২২এপ্রিল/পিটিআই