মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম
বিলেত ফেরত বড় ডাক্তার
পনেরো শ টাকা ফি
অল্প টাকায় রোগী দেখলে
সন্দেহ হয় ও বেটা ডাক্তার নাকি?
সর্ব রোগে সব ওষুধ মিলে
কবিরাজ, বৈদ্য আর ডাক্তার
কম ফিতে তাই রোগী দেখলে
অবিশ্বাস হয় রোগী ও ভোক্তার।
কম বেতনের মাষ্টার মশাই
চলছে ঢিমেতালে
মান ইজ্জতটা ও পেশার সাথে
ধুকছে স্মরন কালে।
বটতলার ওই উকিল বাবু
পায় কি কোন কেস?
আমজনতা ভাবেন ঠিকই
পোশাক আশাক বেশ।
চাকরি করা পাত্র পাত্রী
জামাই রাজা মশাই
ধনী গরিব হিসেব কষি
শ্বশুর নাকি কসাই।
চাকুরী হলেই হলো বুঝি,
সোনার হরিণ পাওয়া
চাকুরী পেলেই বেড়ে যাবে
ব্যাংক ব্যালেন্স আর খাওয়া।
গনপুর্ত আর এলজি ইডি
নামী ডিপার্টমেন্ট
হলেই চাকরি সেখান টাতে
হইবে এ্যপার্টমেন্ট।
এই ধারনা পোষণ করে
মেয়ের বাবা মা
এমন জামাই না পাইলে
মেয়ের বিয়ে দিবেন না।
পরিবারের চাপাচাপি
বউ শ্বাশুড়ির জ্বালা
আপন ভাইকে দূরে ঠেলে
নিজের করে শালী-শালা।
উকিল সাহেব ঘুরায় বটে
কেস মামলার দিন
জীবন ধরে হাটাহাটি
বাড়তে থাকে ঋণ।
এমনি করে জীবন যৌবন
হয়ে যাচ্ছে শেষ
আজকের সমাজ পাল্টাই না তাই
আহা চলছি বেশ বেশ।
কবি ও কলামিস্ট মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।